সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধরনখানা মনে করাবে ‘কাহানি’র বব বিশ্বাসকে। কেমন শান্ত গলায় নমস্কার জানিয়ে লোকটা এক মিনিট চেয়েই খতম করে দিত একের পর এক জলজ্যান্ত প্রাণ! এরা ততটা ভয়াবহ নয়। প্রাণ নেয় না ঠিকই। কিন্তু মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কেড়ে নেয় সর্বস্ব। দিল্লির নতুন ত্রাস ‘নমস্তে গ্যাং’। এমন সৌজন্যের ছিনতাইবাজিতে আপাতত কাঁপছে রাজধানী। পশ্চিম দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এই দল। সিগন্যালে বা রাস্তার কোনও মোড়ে গাড়ি দাঁড় করানো দেখলে এগিয়ে এসে হাত জোড় করে নমস্কার জানাচ্ছে। এরপর সোজা কপালে তাক করছে বন্দুক। প্রাণের ভয়ে সঙ্গে যা আছে তা স্বেচ্ছায় দিয়ে দিচ্ছেন গাড়ির সওয়ারি। গত কয়েকদিনে ‘নমস্তে গ্যাং’-এর নামে ৫০টির মতো অভিযোগও জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। ক’দিন আগেই চারজন ধরাও পড়েছে।
দিল্লি পুলিশের কথায়, গত এক বছর ধরেই এরকম একটি দল দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দিল্লির বিভিন্ন জায়গা। প্রথমে হাত জড়ো করে হাসিমুখে নমস্কার বলছে। এরপরই কপালে ঠেকাচ্ছে বন্দুক। সম্প্রতি চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন চক্রের পান্ডাও রয়েছে। উদ্ধার হয়েছে তিনটি বন্দুক, কার্তুজ ও ছুরি।
দিল্লির ‘খেলনা নোট’ কাণ্ডে গ্রেপ্তার এক
ডিসিপি (পশ্চিম) বিজয় কুমারের কথায়, মূলত ‘নমস্তে গ্যাং’-এর দু’জন করে সদস্য বাইক নিয়ে এই অপারেশন চালাচ্ছে। ড্রাইভারের বাঁদিকের জানলায় দাঁড়িয়ে হেসে হেসে নমস্কার জানাচ্ছে একজন। ড্রাইভার জানলার কাঁচ নামাতেই দরজা খুলে গাড়ির ভিতর ঢুকে বসে পড়ছে অপরজন। এরপরই বন্দুক ধরছে কপালে। ড্রাইভারের ডানদিকের দরজার পাশেই রাখছে বাইকটি। ফলে দরজা খুলে ড্রাইভারের পক্ষে বেরিয়ে পড়া ততটা সহজ হচ্ছে না। মূলত বয়স্কদেরই টার্গেট করছে গ্যাংটি। ধৃতদের জেরা করে ‘নমস্তে গ্যাং’ সম্পর্কে আরও তথ্য উঠে আসবে বলে দাবি পুলিশের।
টাকার জন্য রোগী আটকে রাখায় মৃত্যু হল যুবকের