সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ‘নমাজ-ঘর’ (Namaz room)! রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইতিমধ্যেই সেই বিতর্ক ছড়িয়েছে পড়শি দুই রাজ্য উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) এবং বিহারেও (Bihar)। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা চত্বরে বিধায়কদের নমাজ পড়ার জন্য একটি আলাদা ঘরের বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত। যার পর মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির এক বিধায়ক দাবি করেছেন, তাঁদের রাজ্য বিধানসভাতেও অনুরূপ একটি পৃথক ঘর বরাদ্দ করা হোক। আবার বিহারের এক বিধায়কের পালটা দাবি, ‘হনুমান চালিশা’ এবং ‘ভগবদ্গীতা’ পাঠ করার জন্য বিহার বিধানসভাতেও একটি আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হোক।
প্রসঙ্গত, নমাজ পড়ার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা সংক্রান্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভার উদ্যোগের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে জনৈক ভৈরব সিংহের উদ্যোগে। এই উদ্যোগ ‘ধর্মনিরপেক্ষতার উপর হামলা’,এই মর্মে দাবি করে, প্রতিবাদস্বরূপ বিজেপি বিধায়করা হিন্দু পুরোহিতদের পোশাক পরে মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রবেশ করেন। তাঁরা আরও দাবি করেন, স্পিকার যেন নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ঘোষণা করেন, যাতে তাঁরা হনুমানদেবের পুজো করতে পারেন।
[আরও পড়ুন: Farmers Protest: কৃষক বিক্ষোভ দমনে মাস্টারস্ট্রোক! রবি শস্যের সহায়ক মূল্য বাড়াল কেন্দ্র]
আবার উত্তরপ্রদেশের সপা বিধায়ক, ইরফান সোলাঙ্কি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারের কাছে বিধানসভা চত্বরে একটি প্রার্থনাঘরের দাবি করেছেন। অন্যদিকে, পাটনায় বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর বাচোল, বিহার বিধানসভা চত্বরে ‘হনুমান চালিশা’ এবং ‘ভগবদ্গীতা’ পড়ার জন্য দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় নমাজের জন্য আলাদা ‘নমাজ-ঘর’ বরাদ্দ করেছে সরকার। সরকারের যুক্তি, অনেক সময় মুসলিম বিধায়করা অধিবেশনের মাঝপথে নমাজ পড়তে যান। যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমস্যা হয়। সেকারণেই বিধানসভার অন্দরে মুসলিম বিধায়কদের জন্য নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি বিজেপির।