সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের পতন হল… তাঁর মতো নায়ক কেউ ছিল না, কেউ হবেও না।’ বক্তা সত্যজিৎ রায়। যে মানুষটাকে নিয়ে মাত্র দু’টি সিনেমা তৈরি করেছিলেন। তাঁর প্রয়াণে এই কথাগুলিই বেরিয়ে এসেছিল মায়েস্ট্রোর মুখ থেকে। কারণ সত্যিটা সত্যজিৎই জানতেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তমকুমার এক এবং অদ্বিতীয় নাম। যাঁর সত্যিই কোনও পরিপূরক নেই। নেই কোনও বিকল্প। ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই। সিনেমাপ্রেমী বাঙালির পক্ষে এ দিনটা ভোলা সম্ভব নয়। আকস্মিকই এসেছিল খবরটা। শুটিং চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মহানায়ক। বেলভিউ ক্লিনিকে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় চার দশক পূর্ণ হতে চলল। আজও বাঙালির কাছে তিনিই মহানায়ক। তাঁর প্রত্যেকটা সিনেমা চিরদিনের সম্পদ।
[মৌলবিকে কষিয়ে থাপ্পড় মারতে চাইলেন ফারহা খান, কেন জানেন?]
মহানায়কের এই সিনেমাগুলিই ফের বড়পর্দায় দেখার সুযোগ মিলতে চলেছে। সুযোগটা করে দিয়েছে মহানায়ক প্রতিষ্ঠিত শিল্পী সংসদ। তাদের উদ্যোগেই মঙ্গলবার থেকে নন্দনে শুরু হচ্ছে উত্তম চলচ্চিত্র উৎসব। সাতদিন ধরে নন্দন ও নন্দন ২-এ দেখানো হবে উত্তমকুমারের বাছাই করা ১৪টি ছবি। তালিকায় যেমন রয়েছে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘চিড়িয়াখানা’র মতো জনপ্রিয় ছবি, তেমনই থাকছে ‘মঞ্জরী অপেরা’, ‘বিলম্বিত লয়’, ‘রাজবংশ’, ‘কায়াহীনের কাহিনী’, ‘অসাধারণ’-এর মতো কিছু ব্যতিক্রমী ছবি। ২৪ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত এমনই ছবি প্রদর্শিত হবে।
মঙ্গলবার মহানায়কের প্রয়াণ দিবসে উৎসবের আনু্ষ্ঠানিক সূচনা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি, অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়, পরিচালক গৌতম ঘোষ, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা। প্রতিবারের মতো এবারও মহানায়কের সম্মানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের তরফ থেকে এমন অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু বড়পর্দায় মহানায়কের বাছাই করা সিনেমা দেখার সুযোগ এনেছে শিল্পী সংসদই।
[জীবন সায়াহ্নে এসে সত্যান্বেষণে আদৌ সফল হলেন কি বৃদ্ধ ব্যোমকেশ?]
The post প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য, নন্দনে সাতদিনব্যাপী উত্তমকুমার চলচ্চিত্র উৎসব appeared first on Sangbad Pratidin.