স্টাফ রিপোর্টার: চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় কালিকাপ্রসাদের গাড়িকে! ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ইঙ্গিত কিন্তু সেই দিকেই৷ মঙ্গলবার রাতেই চার সদস্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল গুড়াপে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে৷ সংগ্রহ করে নমুনা৷ ছবিও তোলা হয়৷ পারিপার্শ্বিক প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শুনে বিশেষজ্ঞদের মনে হয়েছে, কালিকাপ্রসাদদের গাড়িকে অন্য কোনও গাড়ি ধাক্কা মারেনি৷ চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই নিয়ন্ত্রণ হারায়৷ তদন্তকারী এক অফিসার জানান, দুর্ঘটনার আগে চালক ব্রেক কষেননি৷ অন্য কোনও গাড়ি ধাক্কা মারলে চালক ব্রেক কষতেন৷ রাস্তায় থাকত চাকা পিছলে যাওয়ার ‘স্কিড মার্ক’৷ সেসব কিছুই মেলেনি৷ বরং ১০ ফুটের অ্যালুমিনিয়ামের রেলিংয়ে লম্বা দাগ রয়েছে৷ ব্রেক কষলে টানা দাগ থাকত না৷ এই সবই চালকের ঘুমিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে মেনে চলুন এগুলি
গাড়ির চালক অর্ণব রাউত অবশ্য বলেছেন, গুড়াপের কাছে একটি লরি তাঁদের গাড়িটিকে ওভারটেক করে৷ তারপর সেটি বাঁদিকে চেপে দেয় তাঁদের গাড়িটি৷ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের গাড়িটি উল্টে যায়। তবে পুলিশ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অন্য গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটেনি, এটুকু বলা যায়৷ বাকিটা তদন্তসাপেক্ষ৷
চন্দনার হোমে শিশুদের কান্না থামাতে দেওয়া হত ঘুমের ওষুধ!
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়ি প্রায় ১০০-১১০ কিমি বেগে ছুটছিল৷ ফলে, সজোরে ব্রেক কষলে রাস্তা বা রেলিং-এ তার দাগ থাকত৷ কিন্তু তা হয়নি৷ বরং রেলিংয়ে প্রথম ধাক্কা লাগার পরও অনেকটা দূর গিয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৫ ফুট নিচের নয়ানজুলিতে উল্টে যায়৷ সেখানেই জল-কাদায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কালিকাপ্রসাদের৷ বিষয়টি নিয়ে গাড়ির সহযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ।
The post চালক ঘুমিয়ে পড়ায় কি দুর্ঘটনার কবলে কালিকাপ্রসাদের গাড়ি! appeared first on Sangbad Pratidin.