সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিখ্যাত কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটল। মঙ্গলবার সকালে তাঁর নিঃশ্বাসের কষ্ট বেড়েছে। পাশাপাশি তিনি চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছেন না বলে জানাচ্ছেন ডাক্তাররা।
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর থেকে কলকাতার মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন কার্টুনিস্ট তথা শিশু সাহিত্যিক নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath)। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বিশেষজ্ঞ সমরজিৎ নস্কর-সহ ছ’জনের এই টিম সারাক্ষণ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। গত শনিবার তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। বার বার ফুসফুসে জল জমে যাচ্ছিল। মূত্রনালিতে সংক্রমণ রয়েছে। সোডিয়াম ও পটাশিয়াম লেভেলও আশাজনক নয়। আর এদিন সকাল থেকে আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: এখনও সিঁথিতে সিঁদুর কেন? একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়]
জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধেতেও বাড়ির সদস্য এবং চিকিৎসকদের কথায় সাড়া দিচ্ছিলেন শিল্পী। কিন্তু আজ সকাল থেকে চিকিৎসায় মেলেনি সাড়া। তাঁর পরিবারকেও ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে। ডা. সমরজিৎ নস্কর জানাচ্ছে, “তাঁর অবস্থা এবার সত্যিই চিন্তায় ফেলেছে। তবে আমার এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বয়সজনিত কারণে শরীরে একাধিক রোগ দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই তাঁর সুস্থ করে তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।”
‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’, ‘ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু’র মতো বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ। ২০১৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০২১-এ পান পদ্মশ্রী সম্মান। গত বছরও জানুয়ারি মাসে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল নারায়ণবাবুকে। সে সময় তাঁর স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় কাগজ-কলম। বলা হয়, তাঁর কোনও সৃষ্টি ফুটিয়ে তুলতে। কাগজ কলম পেয়ে এক মুহূর্তও অপেক্ষা করেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সাদা কাগজে ফুটিয়ে তোলেন বাঁটুলকে।