গোবিন্দ রায়: পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। সেই ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। এবার সেই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়। মামলার আবেদনের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মকরামপুর অঞ্চলে তৃণমূল কার্যালয়ে স্থানীয় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে খোদ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। ওই মহিলা বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী বলে পরিচিত। তাঁর স্বামীও বিজেপির প্রাক্তন নেতা বলে পরিচিত। ওই দম্পতিকে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। একসময় চাপের মুখে তাঁরা সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরেও যান বলে খবর।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পুরনো কোনও বিবাদের মীমাংসার জন্য ওই মহিলাকে এলাকার তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাকা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। পরে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি বলে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের দাবি ওই নেতাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এদিন নির্যাতিতার আইনজীবীর তরফে হাই কোর্টে জানানো হয়েছে, থানায় অভিযোগ জানালেও ধর্ষণের ধারা যুক্ত করেনি পুলিশ। কেবল এফআইআর-ই হয়েছে। তদন্তে আর কোনও অগ্রগতিই হয়নি। অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারও এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। আদালত নির্যাতিতাকে নিরাপত্তা দিক। পাশাপাশি যে কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করানো হোক। আইনজীবীর তরফে এই আর্জিও আদালতে রাখা হয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।