সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চদশ ব্রিকস সামিটে যোগ দিতে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবারের ব্রিকস সামিটের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। ইতিমধ্যেই সে দেশে উঠেছে মোদি ঝড়।
ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠী (BRICS)। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হচ্ছে জোটের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলন। চলবে তিনদিন ২২ থেকে ২৪ আগস্ট । প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে আজ রওনা দিয়েছেন মোদি। এদিন এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “সদস্য দেশগুলির মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শক্তিশালী সংযোগ গড়ে তুলতে ব্রিকস সেরা মঞ্চ। গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিতে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে বিভিন্ন আলোচনাও হবে এখানে।” জোহানেসবার্গে যে নেতারা উপস্থিত থাকবেন তাঁদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মোদি।
[আরও পড়ুন: ‘নমস্কার মোদিজি’, BRICS সামিটে নমোকে স্বাগত জানালেন জন্টি রোডস]
দক্ষিণ আফ্রিকায় চারদিনের সফরে যাচ্ছেন মোদি। এর মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর কর্মসূচী। জানা গিয়েছে, আজ দুপুর ৩টে ৫৫ নাগাদ স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টার পৌঁছবেন তিনি। দুপুর ৪টে যোগ দেবেন ব্রিকস বিজনেস ফোরাম লিডার’স ডায়লগে। বিকাল ৬টায় ব্রিকসের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে নৈশ্যভোজে যোগ দেবেন।
জানা গিয়েছে, পঞ্চদশ ব্রিকস সামিটে যোগ দিচ্ছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। এই সম্মেলনে তাঁর সাক্ষাৎ হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বলে রাখা ভাল, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কয়েকদিন আগেই বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চিনের ফৌজ। এই প্রেক্ষাপটে, মোদি-শি সাক্ষাতে সীমান্ত নিয়ে কোনও রফাসূত্র মেলে কি না তার দিকে তাকিয়ে বিশ্ব। তবে এই বিষয়ে তাঁদের আদৌ কোনও বৈঠক হবে কি না তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে, ব্রিকস সামিটে সশরীরে উপস্থিত থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারচুয়ালি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। তাঁর বদলে রাশিয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী সারগেই লাভরভ। এবারের ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশও।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় চারদিনের সফর শেষে শুক্রবার গ্রিসের উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “গ্রিসে এটা আমার প্রথম সফর হবে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি সেখানে পা রাখব। আমি খুব সম্মানিত ও গর্ববোধ করছি।”