সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাতর আর্তি, নরেন্দ্র মোদিজি (PM Narendra Modi) আমাদের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন। আমাদের বাঁচান। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুই দেশের নেটিজেনদের মধ্যে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম মালিক ওয়াসিম (Malik Wasim)। তাঁর অভিযোগ, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পুলিশ ও প্রশাসন গত কিছুদিনে তাঁর জীবন নরক করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি ভারত সরকার ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
মালিকের বক্তব্য, তাঁর বসত বাড়িটি আসলে ভারতের তথা শিখ সম্প্রদায়ের সম্পত্তি। সম্প্রতি তাঁকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পাক প্রশাসন। বর্তমান তিনি ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। এমন অসহায় পরিস্থিতিতেই ভারতের সাহায্য চাইছেন ওয়াসিম।
[আরও পড়ুন: ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল নাম, করাচিতে মৃত্যু ১৯৯৩ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত সেলিম গাজির]
ভাইরাল ভিডিওয় ওয়াসিম মালিককে বলতে শোনা গিয়েছে, “পুলিশ আমার বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমি মুজাফ্ফরাবাদের কমিশনারকে বলেছি, ফিরিয়ে দিন আমাদের বাড়ি। দেখছেন না কীভাবে আমি ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। যদি ভাল-মন্দ কিছু ঘটে যায় তাহলে কমিশনার ও তহশিলদার দায়ী থাকবেন।”
এরপরেই ভিডিওতে ওয়াসিম বলেছেন, “ভারত সরকারের সাহায্য চাইতে বাধ্য করা হচ্ছে আমাকে। প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ আমার অনুরোধ, এদের উপযুক্ত শিক্ষা দিন।” ওয়াসিমের কাতর আর্তি, “পাকিস্তানের এই নৃশংসতা থেকে আমাদের বাঁচান নরেন্দ্র মোদিজি।”
[আরও পড়ুন: দেশের ৯২% ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছে, টিকাকরণের বর্ষপূর্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ মোদির]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাষ্ট্রসংঘে ভারত অভিযোগ জানিয়েছে, ১৯৯৩ সালের মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত অপরাধীরা শুধু পাকিস্তানে আশ্রয়ই পাচ্ছে না, তারা সেদেশের সরকারের পাঁচতারা আথিতেয়তা পাচ্ছে। এমনকী ডি কোম্পানির মাথা দাউদ ইব্রাহিমও পাকিস্তানে লুকিয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার পাকিস্তানের (Pakistan) করাচিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ( Mumbai Serial Blast) অন্যতম অভিযুক্ত সেলিম গাজির (Salim Gazi)। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে গাজির।