সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে রচিত হতে চলেছে নতুন অধ্যায়। প্রথমবার চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন কোনও মহিলা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে একথা ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ মহাকাশচারী চন্দ্রপৃষ্ঠে নামবেন। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার চাঁদের (Moon) মাটিতে পা রাখার ৫৫ বছর পরে রচিত হবে মানুষের চন্দ্রাভিযানের ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।
নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চাঁদে ফিরে যাচ্ছি। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, অর্থনৈতিক লাভ ও নতুন প্রজন্মের অনুসন্ধানকারীদের জন্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপ।’’
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিনে সমস্যা! ট্রায়ালে অনেকের শরীরেই দেখা গেল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া]
নাসা জানিয়েছে, এবার মহাকাশচারীরা নামবেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। নাসা নির্মিত অরিয়ন মহাকাশযান ওই দু’জনকে পৌঁছে দেবে চাঁদের মাটিতে। এই অভিযানের জন্য খরচ পড়বে ২৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১৬ কোটি ডলার খরচ করা হবে লুনার ল্যান্ডিং মডিউল প্রস্তুত করতে। তিনটি আলাদা প্রোজেক্ট ওই নির্মাণ কাজে এই মুহূর্তে ব্যস্ত। ল্যান্ডার সহ মহাকাশচারীদের চাঁদের মাটিতে নামাবে ওরিয়ন। ওরিয়ন মহাকাশযান নিয়ে নাসা বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করবে। ২০২১ সালের নভেম্বর ওই মহাকাশযানের প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ানটি হবে। তবে সেই অভিযানে মহাকাশযানে কোনও মানুষ থাকবে না।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা নাকি জলবায়ু পরিবর্তন রুখে দেওয়া? কীসে কতটা গুরুত্ব, দ্বিধাবিভক্ত বিশ্ব]
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন নিল আর্মস্ট্রং। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, ‘‘দ্যাটস ওয়ান স্মল স্টেপ ফর এ ম্যান, ওয়ান জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।’’
এরপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছ’টি বিভিন্ন মিশনে বারোজন মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠায় আমেরিকা। কিন্তু তাঁরা সকলেই পুরুষ। এবার মহিলা মহাকাশচারীর চন্দ্রাভিযান মানুষের মহাকাশ অভিযানে নয়া ইতিহাস রচনা করবে। পাশাপাশি এই অভিযানকে মঙ্গলগ্রহে মানুষের অবতরণের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবেও দেখছে নাসা। সাত দিন ধরে মহাকাশচারীরা চাঁদের মাটিতে থাকবেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে মঙ্গলের অভিযানের ব্যাপারে প্রস্তুত হওয়া যাবে বলে মনে করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
The post বছর চারেকের মধ্যেই প্রথমবার চাঁদে পা রাখবেন কোনও মহিলা! ঐতিহাসিক ঘোষণা নাসার appeared first on Sangbad Pratidin.