সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন দলের দুই শীর্ষ নেতা। ইডির তলব পাওয়ার পরই জানিয়ে দিল কংগ্রেস (Congress)। দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী দু’জনেই নির্দিষ্ট দিনেই ইডির দপ্তরে হাজিরা দেবেন। তাঁর সাফ কথা, “এভাবে ভুয়ো মামলা করে বিজেপি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের লুকোনোর কিছু নেই।”
সূত্রের খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আগামী ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে তলব করেছে ইডি। পঁচাত্তরের সোনিয়া আজকাল সচরাচর বাড়ির বাইরে বেরোন না। শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেশ কিছুদিন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও অংশ নেননি তিনি। দীর্ঘদিন বাদে সদ্য উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি। এবার ৮ জুন ইডি দপ্তরেও যাবেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং অভিষেক মনু সিংভি (Abhishek Manu Singhvi)। রাহুল গান্ধীকে সম্ভবত আরও আগে তলব করা হয়েছে। তিনিও ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে চান। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি বিদেশে। তাই ৫ জুনের পর নতুন কোনও তারিখে তাঁকে তলব করার অনুরোধ জানিয়ে ইডিকে পালটা চিঠি লিখেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জুলাই থেকে খুচরো সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ধূমপানে লাগাম টানতে নয়া ভাবনা রাজ্যে!]
কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছে, ইডি-সিবিআইয়ের (CBI) মতো এজেন্সি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রিয় অস্ত্র। আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোতে এই সরকার সিদ্ধহস্ত। এই ভুয়ো অভিযোগগুলিকে হাতিয়ার করে সরকার মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মান করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলছেন, সোনিয়া এবং রাহুল (Rahul Gandhi) দু’জনেই ইডির দপ্তরে হাজিরা দেবেন। আমাদের লুকোনোর কিছু নেই। এভাবে আমাদের দমন করা যাবে না। আর ন্যাশনাল হেরাল্ডও আগের মতোই মানুষের কথা বলবে। সেটাও বন্ধ করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: ‘রাম মন্দির হবে দেশের জাতীয় মন্দির’, গর্ভগৃহের শিলান্যাসের পরে মন্তব্য যোগীর]
বস্তুত, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কংগ্রেসের দুই মহারথীকে তলবের পরই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াচ্ছে অন্য বিরোধীরা। দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন। আগামী দিনে বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ানো হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।