স্টাফ রিপোর্টার: বিজেপি (BJP) নেতানেত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভোগান্তি বাংলায়। প্রায় গোটা দিন হয়রানির শিকার হতে হল প্রচুর মানুষকে। হজরত মহম্মদের উদ্দেশে কেন্দ্রের শাসক দলের দুই মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার হাওড়ায় (Howrah) জাতীয় সড়কের তিন জায়গায় দুপুর থেকে রাত অবরোধ চলে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন।
এনিয়ে নবান্নে জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কড়া প্রতিক্রিয়ায় জানান, সাধারণ মানুষকে হয়রান করে পথ অবরোধ করা যাবে না। তিনি স্পষ্ট বলেন, “বাংলা তো কিছু করেনি। বাংলা থেকে কেউ বললে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার করতাম। যাঁরা করেছেন, দিল্লি বা যেখানে বিজেপি সরকার আছে, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে গিয়ে অবরোধ করুন। বাংলায় অশান্তি করতে দেওয়া হবে না। গোটা বাংলাকে তছনছ করা হয়েছে দু’টি জায়গায় অবরোধের নাম করে।”
[আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেপ্তার করল CBI]
এদিন সকালে NH-6 বম্বে রোডে নিগরাতে অবশ্য এক ঘণ্টাতেই অবরোধ উঠে গিয়েছিল। বেলা এগারোটা থেকে অঙ্কুরহাটিতে ওই জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু হয়। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের হুনসানিতে আবার বিকেলে পথে বসে পড়েন কিছু মানুষ। রোগী-সহ অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল ও জরুরি পরিষেবার গাড়ি-সহ অসংখ্য গাড়ি আটকে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল হন মানুষ। রাজ্যের দুই প্রান্তের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী এমনও বলেন, “বিজেপিকে হাতের কাছে পাচ্ছেন না, আমাকে খুন করলে যদি খুশি হন, আমি রেডি আছি। কিন্তু প্লিজ, জনতার উপর এই প্রতিশোধ নিতে যাবেন না।”
[আরও পড়ুন: রাজভবনের বাইরে SLST প্রার্থীদের বিক্ষোভের মাঝেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
হাওড়ায় অবরোধ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “পুলিশ কিন্তু হাত দিতে পারত। আমরা চাই না গন্ডগোল লাগুক। কিন্তু মানুষ কতক্ষণ সহ্য করবে? কোনও ধর্ম সম্বন্ধে কোনও কটু কথা বলার অধিকার আমাদের নেই।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরও অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ ছিল। পরে রাতের দিকে, প্রায় ১১ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়।