সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) হামলার ঝাঁজ বাড়াচ্ছে রাশিয়া (Russia)। ক্রমে আরও ভয়ানক হচ্ছে পরিস্থিতি। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে নরওয়েতে শুরু হয়েছে NATO গোষ্ঠীর সামরিক মহড়া। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ২৮টি দেশ ‘কোল্ড রেসপন্স ২০২২’ নামের এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
১৪ মার্চ ন্যাটো সামরিক জোটের ৩০ হাজার সেনা, ২০০টি বিমান ও ৫০টি যুদ্ধজাহাজ শুরু করেছে মহড়া। বিবিসি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধের আবহেই এই মহড়া ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এই মহড়ার মাধ্যমেই প্রচ্ছন্ন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ন্যাটো? তেমন সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন সামরিক জোটের শীর্ষকর্তারা।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ‘শাস্তি’, ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল স্বামী]
জানানো হয়েছে, এই মহড়ার পরিকল্পনা অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। এমনকী, রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার আগেও। আসলে নরওয়ে কীভাবে তার মাটিতে মিত্রদেশগুলির শক্তিবৃদ্ধি করবে, সেটাই পরীক্ষা করে দেখতে এই মহড়ার আয়োজন। এর মাধ্যমে কোনও রকম আক্রমণাত্মক বার্তা দেওয়া হচ্ছে না। আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।
তবে উদ্দেশ্য যাই হোক, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশে ন্যাটোর এই মহড়া ঘিরে বিতর্কের আবহ রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় ২০০ কিমি সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে নরওয়ে।
[আরও পড়ুন: সরকারি শিক্ষক-চিকিৎসকদের বদলির নীতি বদলাল রাজ্য, বড় ঘোষণা স্বাস্থ্যদপ্তরের]
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য দেশ নয়। কিন্তু জোটটির অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে দরবার করেছে কিয়েভ। আর যুদ্ধের অন্যতম কারণও জেলেনস্কি প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। রাশিয়ার হামলার মুখে এতদিন পর্যন্ত অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা ছাড়া এখনও পর্যন্ত রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি সেনা নামতে রাজি হয়নি আমেরিকা ও ন্যাটো। পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।