সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন নওয়াজ শরিফ। তাঁর অভিযোগ, মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের উপর প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে। আর এমনটা হলে, দায়ী হবেন ইমরান খান (Imran Khan) ও পাক সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তারা।
[আরও পড়ুন: ক্রমেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নয়া স্ট্রেন! লকডাউনের পথে ইটালি, তৃতীয় ঢেউ জার্মানিতেও]
করোনা মহামারী থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে দেশটির উপর। সব মিলিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে মরিয়া ইমরান খানের প্রশাসন ও পাক সেনা। গণতন্ত্রের আড়ালে দেশটিতে সরকার চালাচ্ছে ফৌজ তা সবার জানা। এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর হামলার আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ, বরাবরই গণতান্ত্রিক সরকারের কাজে ‘সর্বশক্তিমান’ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছেন দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কার্যত তাঁর নেতৃত্বেই ইমরান সরকারকে গদিচ্যুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে ১১টি বিরোধী দলের ‘মহাজোট’। ফলে পাক সেনার অন্যতম টার্গেট নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবার।
বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন নওয়াজ। সেখান থকেই একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “মরিয়মকে বারবার হুমকি দিচ্ছে সেনা। ফৌজের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না থামালে তাঁকে খতম করে দেওয়া হবে বল শাসানো হচ্ছে। আমার মেয়ের কিছু হলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পাকিস্তানি সেনার প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, আইএসআই প্রধান জেনারেল ফইজ হামিদ ও জেনারেল ইরফান মালিক দায়ী থাকবেন। আপনারা এত নিচে নেমে গিয়েছেন। প্রথমে করাচিতে আমার মেয়ের হোটেলে হামলা চালালেন। এবার তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। দু’টি দুর্নীতি মমলায় তাঁকে বারবার সমন পাঠানো হলেও আদালতে হাজির হননি তিনি। তারপরই গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে ‘ঘোষিত অপরাধী’ হিসেবে দেগে দেয় ইসলমাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মহসিন আক্তার কয়ানির বেঞ্চ। ফলে দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।