সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইদের পরই দেশে ফিরছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif)। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর নেতা মিয়াঁ জাভেদ লতিফ। নওয়াজের প্রত্যাবর্তন বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে এক নতুন মোড় আসবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: লন্ডনে বিক্ষোভের মুখে ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা, বেডরুমে ঢুকে পড়ার হুমকি নওয়াজপন্থীদের]
বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা চলছে। ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য নওয়াজকে লন্ডন যাওয়ার অনুময়ী দেয় লাহোর হাই কোর্ট। তারপর আর দেশে ফেরেননি মুসলিম লিগের সুপ্রিমো। নির্ধারিত সময়ে দেশে না ফেরায় ২০২১ সালে নওয়াজ শরিফকে ‘ঘোষিত অপরাধী’র তকমাও দেয় ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে নিজের ও কন্যা মরিয়ম নওয়াজের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেন নওয়াজ শরিফ। আর সেবার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাক সেনার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পালটেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে এখন নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ।
এদিকে, দেশে ফিরলেও দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে শুনানি হবে বলে খবর। বলে রাখা ভাল, প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে না বসতেই দাদা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দেশে ফেরাতে সক্রিয় হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) প্রধানের কূটনৈতিক ভিসার ব্যবস্থা করতে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ভিসা ইস্যু করার ব্যাপারে তাঁকে ব্রিফও করেছেন কূটনৈতিক শাখার অফিসাররা।
উল্লেখ্য, পানামা পেপার্স মামলায় ২০১৭ সালে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গদি চলে গিয়েছিল নওয়াজের। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করে ইমরান সরকার। ২০১৮ সালে অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট আল-আজিজিয়া স্টিল মিল দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে সাত বছরের কারাবাসের সাজা দেয়। পাশাপাশি অ্যাভেনফিল্ড সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় সব মিলিয়ে মোট ১১ বছরের জেল হয় তাঁর। তার উপরে ৮ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানাও হয়।