সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif। কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন শরিফ বলে দাবি করেছেন আমেরিকায় নিযুক্ত প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত আবিদা হুসেন।
[আরও পড়ুন: নাভালনির মুক্তির দাবিতে উত্তাল রাশিয়া! আটক সাড়ে চার হাজারেরও বেশি]
পাক সংবাদমাধ্যম ‘Express Tribune’ সূত্রে খবর, নওয়াজ শরিফের মন্ত্রিসভার সদস্য আবিদা বলেছেন, “হ্যাঁ, লাদেনের থেকে টাকা নিতেন নওয়াজ শরিফ। তবে বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। ওসামা আর্থিক মদত দিত।” এদিকে, কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর সদস্য ফারুখ হাবিব অভিযোগ তুলেছেন, দেশে বিদেশি লগ্নির বেশির ভাগটাই দিয়েছেন লাদেন। শুধু তাই নয়, লাদেনকে কাজে লাগিয়ে বেনজির ভুট্টোর সরকারকে উচ্ছেদ করছেন নওয়াজ। এবার খোদ তৎকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যের এহেন বয়ানে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন বিরোধী নেতা নওয়াজ শরিফ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, পাক সরকার ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। ইমরান খানের প্রশাসনও ব্যতিক্রমী নয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। দু’টি দুর্নীতি মমলায় তাঁকে বারবার সমন পাঠানো হলেও আদালতে হাজির হননি তিনি। তারপরই গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে ‘ঘোষিত অপরাধী’ হিসেবে দেগে দেয় বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মহসিন আক্তার কয়ানির বেঞ্চ। আদালত সূত্রে খবর, আল-আজিজিয়া ও অ্যাভেনফিল্ড মামলার রায়ের বিরোধিতা করে, শরিফের তরফে দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। যথারীতি শরিফ গরহাজির ছিলেন। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামাবাদ হাই কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ।
বর্তমান ও প্রাক্তন দুই পাক প্রধানমন্ত্রীর বিবাদে সরগরম পাকিস্তানের (Pakistan) জাতীয় রাজনীতি। এর আগে গত আগস্টেই নওয়াজ শরিফকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়ে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশে না ফেরায় তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়। তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য ব্রিটেনের কাছে আবেদনও করা হয়েছে। ৭০ বছরের নওয়াজ শরিফ দেশের রাজনীতিতে সেনার জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনী ও আইএসআই নেতৃত্ব— সবেতেই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি।