সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা বলেছিলেন, “অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোটে না গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে আমরা নিজেদের শক্তিতে লড়ব।” ছেলে বলছেন, “আমরা ইন্ডিয়া জোটেই রয়েছি। এবং ইন্ডিয়া জোটেই থাকব। এনডিএ-তে ফেরার প্রশ্ন নেই।” প্রথম জন ফারুক আবদুল্লা, কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি। দ্বিতীয়জন ওমর আবদুল্লা, কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ-সভাপতি। দলের দুই শীর্ষ নেতার বক্তব্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
আসলে বৃহস্পতিবারই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা (Farooq Abdullah) জানান, লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল একাই লড়বে। এমনকী ভবিষ্যতে এনডিএ (NDA) জোটে যোগ দিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত করেন ফারুক। ইডির তলবের ঠিক দুদিন বাদে তাঁর এই ঘোষণায় অনেকেই অবাক হন। এর আগে অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ছিল ফারুকের দল। সেই সম্ভাবনা ফের উসকে যায়। ইন্ডিয়া জোটে আরও ভাঙনের সম্ভাবনা শোনা যায়।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকে উত্তপ্ত করতে ‘নন্দীগ্রাম মডেল’! বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে অডিও প্রকাশ কুণালের]
কিন্তু পরে বাবার সেই মন্তব্যের বিভ্রান্তি দূর করতে আসরে নামেন ওমর আবদুল্লাহ। ওমর দাবি করেন, তাঁর বাবার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ফিরবে না। তাঁর স্পষ্ট কথা, “আমরা ইন্ডিয়া জোটেই থাকব। বাবা আসলে আমাদের দলের কর্মীদের ইচ্ছার কথা বলেছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘কাঁটার মুকুট লাগে ভারী’, বিধানসভায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ‘ক্লান্ত’ মদনের]
ওমর যতই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করুন, আসলে কাশ্মীরেও ফারুকের হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটানোর নেপথ্যে রয়েছে আসন জট। ওমর আবদুল্লা বলছেন, “আসন রফা নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। যে আসনগুলি বিজেপির দখলে রয়েছে শুধু সেগুলি নিয়েই আলোচনা হতে পারে।” আসলে কাশ্মীরের ৩ আসন ন্যাশনাল কনফারেন্সের দখলেই আছে। কিন্তু এ বার ইন্ডিয়া জোটের আরেক সঙ্গী মেহবুবা মুফতি কোনও অবস্থাতেই তাঁর প্রাক্তন লোকসভা কেন্দ্র অনন্তনাগের দাবি ছাড়তে রাজি নন। সেকারণেই এক লড়ার কথা বলছে ন্যাশনাল কনফারেন্স।