সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উঠল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (NCERT) বিরুদ্ধে। এবার বাদ দেওয়া হল ভারতীয় সমাজে বর্ণ ও জাতি ব্যবস্থার সমীকরণ। পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ে হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে করা হয়েছে ‘সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা’। ভারতের নিজস্ব মূল মধ্যরেখাও ছিল বলে দাবি করা হয়েছে নয়া পাঠ্যবইয়ে।
প্রথম পরিবর্তনটি হয়েছে এনসিইআরটি-র ষষ্ঠ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞানের (Sociology) বইয়ে। অতিমারী করোনা (Coronavirus) সময় পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে এর আগে পাঠ্যক্রমে বদল ঘটিয়েছিল তারা। কিন্তু শুক্রবার এনসিইআরটি যে বই প্রকাশ করেছে, তাতে পাকাপাকিভাবেই পাঠ্যক্রম বদলে গিয়েছে। ভারতীয় সমাজের বর্ণনায় বেদের উল্লেখ থাকলেও বর্ণ ও জাতিবাদের কোনও উল্লেখ নেই। নারীসমাজ এবং শূদ্রদের যে বেদ চর্চার অধিকারও ছিল না, বই থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের ভূগোল (Geography) বিভাগে কালিদাসের ‘কুমারসম্ভব’-এর কবিতার রয়েছে। হিমালয়ের বর্ণনা করতে গিয়ে ওই কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বাইডেন, ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হবে কে?]
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর চ্যান্সেলর এম সি পন্থের নেতৃত্বাধীন ১৯ সদস্যের কমিটি এই নয়া পাঠ্যবইয়ের (Text book) দায়িত্বে ছিল। ওই কমিটিতে ছিলেন লেখিকা সুধা মূর্তি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারপার্সন বিবেক দেবরায়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখা সংগঠন ‘সংস্কৃত ভারতী’র প্রতিষ্ঠাতা চামু কৃষ্ণ শাস্ত্রী, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মঞ্জুল ভার্গব এবং সংগীতশিল্পী শংকর মহাদেবন।