সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET) পরীক্ষার। যেখানে এই বছর ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। তবে সেই সব অভিযোগ ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। শনিবার এনটিএ-এর ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, নিট পরীক্ষায় কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি এই বছর ৬ কেন্দ্রে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সুবোধ কুমার বলেন, মোট ৬ টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু দেশের বাকি সব পরীক্ষাকেন্দ্রে সুষ্ঠভাবেই সম্পন্ন হয় পরীক্ষা। যে ৬ কেন্দ্র সমস্যা হয়েছিল বলেই সেখানে গ্রেস মার্কস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, কিছু পরীক্ষার্থীকে কম সময় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা এই বিষয়ে আদালতকে জানিয়েছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠিত হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে।'
[আরও পড়ুন: গাড়ি-বাড়ি থেকে বেতন-ভাতা, সাংসদ হলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?]
নিট প্রধান জানান, 'আমরা সমস্ত কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেই। এবং সেখান থেকেই অত্যন্ত দায়িত্ব সহকারে বলছি প্রশ্নফাঁসের কোনও ঘটনা ঘটেনি। যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো ও অপপ্রচার।' একইসঙ্গে জানান, 'সারা দেশে ৪ হাজার ৭৫০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ৬টি কেন্দ্রে সমস্যা হয়। ১৬০০ পরীক্ষার্থীকে ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের আমরা গ্রেস নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৫০০ জনের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।'
[আরও পড়ুন: লোকসভায় জয়ী NDA, খুশিতে আঙুল কেটে দেবতাকে উৎসর্গ ছত্তিশগড়ের যুবকের!]
এই গ্রেস মার্কস বিতর্ক নিয়ে সুবোধ কুমার বলেন, নিটে যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে সেই কমিটি। এনটিএয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের কথায়, 'এক সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি সুপারিশ জমা দেবে। সেক্ষেত্রে পরিক্ষার্থীদের রেজাল্ট পরিবর্তিত হতে পারে।'