সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নিটের চূড়ান্ত রায়েও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সাফ কথা, NEET নিয়ে এনটিএ যেভাবে ছেলেখেলা করেছে, সেটা কোনওভাবেই পড়ুয়াদের স্বার্থরক্ষা হতে পারে না। NTA-র উচিত টালবাহানা না করে সমস্ত ত্রুটি মিটিয়ে নেওয়া।
গত ৫ মে NEET-UG পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের (NEET exam paper leak case) অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
[আরও পড়ুন: তাঁর বিরুদ্ধে ইডি হানার প্রস্তুতি চলছে, বিস্ফোরক দাবি রাহুল গান্ধীর]
বিরোধী শিবির তথা পড়ুয়াদের একাংশের দাবি ছিল, ৫ মের পরীক্ষা বাতিল করে ফের নিটের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দেয়, পরীক্ষা বাতিল বা নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। কেন সেই সিদ্ধান্ত, এদিন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে ৩ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানাল, নিটে ব্যাপক হারে প্রশ্নফাঁস হয়েছে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। গোটা পরীক্ষা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ্বতা প্রভাবিত হয়েছে, সেটা বলার মতোও প্রমাণ মেলেনি। তবে একই সঙ্গে এনটিএর খামতিগুলোও তুলে ধরেছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: অবশেষে কুকি-মেতেইদের মধ্যে শান্তিচুক্তি, স্বাভাবিক হওয়ার পথে মণিপুর!]
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, "এনটিএকে এবার টালবাহানা বন্ধ করতে হবে। যেভাবে টালবাহানা করছে, সেটা মোটেই পড়ুয়াদের স্বার্থের জন্য ভালো নয়।" যেভাবে NTA পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্র বদলের সুযোগ দিয়ে দুর্নীতির দুয়ার খুলে দিয়েছে, যেভাবে ১৫৬৩ পড়ুয়াকে গ্রেস মার্কস দিয়েছে, সেসবই ছেলেখেলা বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত।