সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে আন্দোলন ও বিরোধীদের চাপের মুখে কেন্দ্র লক্ষ লক্ষ টাকার নিট-নেট দুর্নীতির দায়ে এনটিএর অধিকর্তা তথা ডিজিকে অপসারণ করল এবং নিট-ইউজি দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। একইসঙ্গে স্থগিত করা হল নিট-পিজি তথা মেডিক্যালের স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষাও। শনিবার রাতে অল্প কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের পরপর এতগুলি সিদ্ধান্ত শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
পরীক্ষা শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে নিট-পিজি তথা মেডিক্যালে স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবারই নিট-পিজি হওয়ার কথা ছিল। অ্যাডমিট কার্ডও পেয়ে গিয়েছেন পরিক্ষার্থীরা। এনটিএর বক্তব্য, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিট-পিজি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। NTA জানিয়েছে, অবিলম্বে পরীক্ষার নতুন দিনক্ষণ জানানো হবে। শনিবার মধ্যরাতেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী দলগুলির নেতারা। শুক্রবার রাতে একইরকমভাবে স্থগিত হয়ে গিয়েছে সিএসআইআর-ইউজিসি-নেট। কেন্দ্রের ধারাবাহিকভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি বাতিল ও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট যে এক বিরাট দুর্নীতির চক্র সমগ্র দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
[আরও পড়ুন: কমছে দুধের দাম, করমুক্ত রেলের একাধিক পরিষেবা, জিএসটি বৈঠকে বড় পদক্ষেপ অর্থমন্ত্রীর]
এদিকে, নিট পিজি স্থগিত হলেও বিতর্কিত NEET-UG-তে যারা গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন সেই ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে আজ পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। দেশের মোট সাতটি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনটিএর পরীক্ষা পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে শিক্ষামন্ত্রক যে কমিটি গড়েছে, সেই কমিটির সদস্যরাও থাকবেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। ভুল প্রশ্নের জন্য যে সমস্ত পরীক্ষার্থী গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন, তেমন ১৫৬৩ জনকে ফের পরীক্ষা দিতে হবে বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল NTA। আজ সাত কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তায় সেই পরীক্ষা হওয়ার কথা।
[আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে যোগাসন! শিখ ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা]
এদিকে, ইউজিসি-নেট দুর্নীতির তদন্তে আগেই সিবিআই হয়েছিল। শনিবার নিট-ইউজির তদন্তেও সিবিআই নির্দেশ দেওয়া হল। বস্তুত, সিবিআইয়ের এই নির্দেশ যে মোদি সরকারের একটা মুখরক্ষার চেষ্টা, তা নিয়ে সংশয় নেই। এনটিএর ডিজি সুবোধ কুমার সিংকে শনিবার রাতে অপসারণের মধ্যে দিয়েও কেন্দ্র পিট বাঁচানোর একটা চেষ্টা করেছে। নিট-ইউজি দুর্নীতি সামনে আসার পর এই সুবোধ কুমারই সব দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছিলেন।