সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় অসঙ্গতির অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর দাবি, নিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। এই নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, সেদিকেই লক্ষ্য রাখা উচিত।
ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী? তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''এখনও পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের কোনও প্রমাণ মেলেনি। অভিযোগ রয়েছে। যোগ্য কর্তৃপক্ষ সেগুলো খতিয়ে দেখছে। কিছু অভিযোগ ও আলগা তথ্য হাতে আসছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে। ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, সেদিকেই লক্ষ্য রাখা উচিত। লুকনোর তো কিছু নেই।'' সেই সঙ্গেই তাঁর আর্জি, পরীক্ষার্থীরা যেন টেনশন না করেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভুল করে তৈরি হয়েছে NDA সরকার, যে কোনও সময় পড়ে যাবে’, খোঁচা খাড়গের]
তবে সেই সঙ্গেই ধর্মেন্দ্র বলছেন, ''কিছু অসঙ্গতি আমাদের সামনে এসেছে। আমরাও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। গতকাল সুপ্রিম কোর্টও একটি রায় দিয়েছে। এর পর আর কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।'' পরীক্ষা কি বাতিল হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর পালটা প্রশ্ন, ''নিট বাতিলের প্রয়োজনীয়তা কী? এর পিছনে বিরোধীদের স্বার্থ রয়েছে। গত বছর নিটে যিনি প্রথম হন, তিনি তামিলনাড়ুর গ্রামীণ এলাকার পড়ুয়া। তাহলে আসল অভিযোগটা কী?''
প্রসঙ্গত, এ বছর নিট (NEET) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। এই ইস্যুতে সরব গোটা দেশ। ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় ব্যাপক অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিল ও কাউন্সেলিং বন্ধের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। সেই মামলায় এর আগে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
[আরও পড়ুন: খেলতে খেলতে ৫০ ফুট গভীর বোরওয়েলে, ১৭ ঘণ্টা পর মৃত্যু গুজরাটের শিশুকন্যার]
গত বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভুল প্রশ্নের জেরে যে ১৫৬৩ জন গ্রেস মার্কস পেয়েছেন, সেই গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে। ওই ১৫৬৩ জনকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বলা হবে। আগামী ২৩ জুন ফের পরীক্ষায় বসতে হবে ওই পড়ুয়াদের। ফলাফল ঘোষণা ৩০ জুন। তবে যেহেতু নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ একটি বিকল্প হিসাবেই দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের, সেক্ষেত্রে কেউ চাইলে এই পরীক্ষায় না বসতেও পারেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ঘুরপথে বেনিয়ম মেনে নিল কেন্দ্র? এপ্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্র (Dharmendra Pradhan) বলছেন, যাঁরা চান তাঁরা ৬টি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ফের পরীক্ষা দিতে পারেন।