সোমনাথ রায় নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় অসঙ্গতির অভিযোগ একপ্রকার মেনে নিল কেন্দ্র। এমনকী যে ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী 'ভুল' প্রশ্নের জন্য গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন তাঁদের সেই বাড়তি গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী চাইলে তাঁদের ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
এ বছর নিট (NEET) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। এই ইস্যুতে সরব গোটা দেশ। ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় ব্যাপক অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিল ও কাউন্সেলিং বন্ধের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। সেই মামলায় এর আগে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
[আরও পড়ুন: খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৪ দরজাই. ক্ষমতায় এসেই বড় সিদ্ধান্ত বিজেপির]
শুরুতে কেন্দ্র তথা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি দাবি করছিল, নিটে কোনওরকম বেনিয়ম হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভুল প্রশ্নের জেরে যে ১৫৬৩ জন গ্রেস মার্কস পেয়েছেন, সেই গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে। ওই ১৫৬৩ জনকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বলা হবে। আগামী ২৩ জুন ফের পরীক্ষায় বসতে হবে ওই পড়ুয়াদের। ফলাফল ঘোষণা ৩০ জুন। তবে যেহেতু নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ একটি বিকল্প হিসাবেই দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের, সেক্ষেত্রে কেউ চাইলে এই পরীক্ষায় না বসতেও পারেন কিনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ঘুরপথে বেনিয়ম মেনে নিল কেন্দ্র?
[আরও পড়ুন: কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের পাশে প্রধানমন্ত্রী মোদি, ঘোষণা আর্থিক সাহায্যের]
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supereme Court) এই মামলার শুনানিতে রীতিমতো তিরস্কৃত হতে হয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (NTA)। মামলার শুনানিতে বিচারপতি আমানুল্লা এনটিএ-র আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। তাই আমরা উত্তর চাই।” যদিও নিট কাউন্সেলিংয়ে এখনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। ফলে আগামী সপ্তাহেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরাজ্যেও ১৬-১৭ জুন কাউন্সেলিং হতে পারে।