সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে বিদেশনীতি স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শপথগ্রহণের পর রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন, নয়া সরকারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে প্রতিবেশি দেশগুলি। পাশাপাশি কয়েকমাস আগেও যে মালদ্বীপের সঙ্গে রীতিমতো কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু হয়েছিল মালদ্বীপের, সেখানকার প্রেসিডেন্ট চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিশ্বের ৭ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পর রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শান্তি ও সমৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শান্তি ও উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে সে কথাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪৭ বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি হবে আমাদের লক্ষ্য।
[আরও পড়ুন: বাসের হদিশ দিতে পথদিশার আদলে আসছে নতুন অ্যাপ]
রাষ্ট্রপতি ভবনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর একান্তে কথা বলতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতেই পরামর্শ করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। উল্লেখ্য, গত বছর মালদ্বীপে ক্ষমতায় আসেন চিনপন্থী মুইজ্জু। এর পরই তাঁর ভারতবিরোধী মানসিকতা দুই দেশের সম্পর্ককে খারাপের দিকে নিয়ে যায়। মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের চরম সময়সীমা দিয়ে দেয় মুইজ্জু সরকার। যদিও ভারতের সঙ্গে শত্রুতা ভালো হবে না বুঝতে পেরে জটিলতা কাটতে নিজেই মাঠে নামেন মুইজ্জু। এর পর এনডিএ'র জয়ে মোদিকে অভিনন্দন ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েই ছুটে আসেন তিনি। এর পর রাষ্ট্রপতি ভবনে মুইজ্জুর সঙ্গে মোদি আলাদা বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দু বলেই এই পরিণতি?’, কাশ্মীরে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে জঙ্গি হানায় সরব সাংসদ কঙ্গনা]
উল্লেখ্য, মোদি এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ প্রমুখ। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষকদের একাংশের দাবি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব খর্ব করতে শপথ নেওয়ার দিন থেকেই পড়শিদের সঙ্গে মিত্রতার বার্তা দিলেন মোদি। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দুপুরেই ফিরে যাবেন। বাকি রাষ্ট্রপ্রধানরা ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।