সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ বা ফৌজদারি আদালত ফৌজদারি আইনের অধিনে ১০২ বা ১০৪ ধারা প্রয়োগ করে কোনও নাগরিকের পাসপোর্ট (Passport) বাজেয়াপ্ত করতে পারে না। শনিবার একটি মামলার শুনানিতে একথা জানিয়ে দিল কর্নাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নীতিন শম্ভুকুমার কাসলিওয়ালের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুর ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনাল-১-এর (Debt Recovery Tribunal-1) আদেশে এই কাজ করেছিল পুলিশ। এদিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে। ব্যবসায়ীকে তাঁর পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতায় দেওয়ানি আদালতের সমকক্ষ। সেই দেওয়ানি আদালত পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করতে পারে না। একই কারণে ডিআরটিও সেই কাজ করতে পারে না।
[আরও পড়ুন: বাইকে বসে ফেসবুক লাইভ! দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের]
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৯ সালে। অভিযুক্ত কাসলিওয়াল বিভিন্ন ঋণগ্রহীতার হয়ে একটি চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে। ২০১৫ সালে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করে। সময় মতো ওই ঋণ পরিশোধ না করায় কাসলিওয়ালের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও বিক্রির আবেদন করে ব্যাঙ্কগুলি। এই মামলায় ট্রাইব্যুনাল কাসলিওয়ালের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়। পালটা কাসলিওয়ালে আবেদন করেন, বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হলে তাঁকে যেন পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: হার্দিক নাপসন্দ? মুম্বইয়ের মসনদ থেকে রোহিত সরতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সূর্যর!]
এর পর ২০১৬ সালে পুনর্নবিকরণের জন্য পাশপোর্ট ফেরত চান কাসলিওয়াল। যদিও তাঁর আবেদন খরিজ হয়ে যায়। এর পরই কর্নাটক হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন নীতিন শম্ভুকুমার কাসলিওয়াল। ওই মামলায় সম্প্রতি আদালত জানিয়েছে, পুলিশ বা ফৌজদারি আদালত কোনওভাবেই নাগরিকের পাশপোর্ট বাজেয়াপ্ত করতে পারে না।