সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুতেও আশ্চর্য মিল স্বামী ও স্ত্রীর! অবাক করা সমাপতন। ১৬ বছর আগে এক বিমান দুর্ঘটনাই (Plane Crash) কেড়ে নিয়েছিল স্বামীকে। তিনিও ছিলেন কো-পাইলট, কাজ করতেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সেই। আর এবার নেপালের (Nepal) পোখরায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্ত্রী অঞ্জু খাতিওয়াড়ার। অঞ্জু ছিলেন অভিশপ্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমানের কো-পাইলট। সবচেয়ে বড় কথা কিছু সেকেন্ডের ব্যবধানে স্বপ্নপূরণ হত তাঁর। বিমানটি বিমান বন্দরে নামলেই কো-পাইলট থেকে পাইলটের যোগ্যতা অর্জন করতেন তিনি। কিন্তু তার আগেই ঘঠে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমানটিতে বিমান কর্মী ও যাত্রী মিলিয়ে ৭২ জনই। রবিবার যাত্রীবাহী বিমানটি পুরোনো পোখরা বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে সেতি নদীর অববাহিকায় পাহাড় ঘেরা বনভূমির মধ্যে ভেঙে পড়ে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিনা সহযোগিতায় পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি গড়ে উঠেছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে যার উদ্বোধন করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড। ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। বিমানের পাইলট ছিলেন সিনিয়র ক্যাপ্টেন কামাল কেসি। আর কো-পাইলটের আসনে ছিলেন অঞ্জু। এদিন স্বপ্নের উড়ানে চড়েছিলেন তিনি। ককপিটে তাঁর প্রশিক্ষক পাইলট কামাল কেসির পাশে বসেছিলেন ক্যাপ্টেন পদে উত্তীর্ণ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। যদিও তা সম্ভব হল না। উলটে জীবনের উড়ানও থমকে গেল।
[আরও পড়ুন: মোদি-শাহের ‘জাতীয়তাবাদ’কে খোঁচা রোমিলা থাপারের, পালটা সরব বিজেপি]
উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন পদে উত্তীর্ণ হতে একজন পাইলটের কমপক্ষে ১০০ ঘন্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। ইয়েতি এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গিয়েছে, চিফ পাইলটের লাইসেন্স পাওয়া থেকে মাত্র ১০ সেকেন্ড দূরে ছিলেন। পোখরা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এটিআর-৭২ অবতরণ করলেই তা সম্পূর্ণ হত। যদিও ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্যাপ্টেন কামাল কেসির নেতৃত্বে উড়ছিল বিমানটি। তিনি অঞ্জুর মতোই একাধিক পাইলটকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। অথচ তাঁর হাতেই ঘটে গেল বিপর্যয়। যার ফলে অঞ্জুর পরিণতি হল ঠিক তাঁর স্বামীর মতো।