সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে কি দূরত্ব ঘোচাতে চাইছে নেপাল? সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক পদক্ষেপ তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি ওয়াকিবহালের মহলের। শনিবার নেপালের বাসিন্দাদের দশেরার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিতর্কিত মানচিত্রের বদলে দেশের পুরনো মানচিত্রই ব্যবহার করলেন কে পি ওলি। তাঁর এই পদক্ষেপ আরও একবার বিতর্ক উসকে দিল।
বেজিংয়ের মদত আর নিজের গদি বাঁচানোর তাগিদ, দুই কারণে দেশজুড়ে জাতীয়তা বোধের জিগির তোলেন অলি। ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে বিতর্কিত মানচিত্র (Map) তৈরি করান। ভারতের কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পুয়াধুরা সমেত মানচিত্রটি সংসদে পাশও করিয়ে নেন। বিভিন্ন বিতর্কিত এলাকায় সেনা ক্যাম্পও তৈরি করতে শুরু করেন। শনিবার দেশবাসীকে দশেরার শুভেচ্ছা জানানোর সময় নতুন বিতর্কিত মানচিত্রের বদলে পুরনো মানচিত্রই ব্যবহার করেন।
[আরও পড়ুন : ‘বন্ধুর সম্পর্কে এভাবে কথা বলে না কেউ’, ভারতকে দূষিত বলায় ট্রাম্পকে তোপ বিডেনের]
এরপর ওলির বিরোধী পক্ষে তাঁকে নি্শানা করে। অভিযোগ তোলে, কালাপানি ইস্যু্তে পিছু হঠছে ওলির সরকার। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওলির পরামর্শদাতা সূর্য থাপা। তিনি জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য এই সমস্যা হয়েছে। শুভেচ্ছা বার্তায় নতুন মানচিত্রই ব্যবহার হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পুয়াধুরা এলাকাগুলি বোঝা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানিয়েছেন, কালাপানির দাবি থেকে পিছু হঠছেন না তাঁরা।
তবে ওলির এ হেন আচরণের পিছনে অন্য কারণ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের কথায়, এতদিন চিনের মদতে ভারত বিরোধিতায় নেমেছিল নেপাল। কিন্তু সম্প্রতি চিনের মতলব বুঝতে পেরেছে নেপাল। তাই ফের ভারতের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে তাঁরা। কিছুদিন আগে ভারত বিরোধী এক মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন। ভারতের র’ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হয় নেপালের। আবার আগমী মাসে ভারতীয় সেনা প্রধান সে দেশে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পুরনো মানচিত্র ব্যবহার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।