সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে (Nepal) তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ঘটনায় নাটকীয় মোড় দিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে সংসদ ভঙ্গ করলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী।
[আরও পড়ুন: ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল ইজরায়েল ও হামাস]
জানা গিয়েছে, কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির ক্যাবিনেট সংসদ ভঙ্গ করার প্রস্তাব দেয়। ফলে ফের নির্বাচনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতি। আগামী নভেম্বর মাসের ১২ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে হতে পারে ভোটগ্রহণ। কয়েকদিন আগেই পার্লামেন্টে আস্থাভোটে পরাজিত হন ওলি। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতির দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেরবাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে নেপালি কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়। ফলে ফের ওলিকেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার তোড়জোড় করছিল বিরোধী দলগুলি। ফলে সংসদ ভঙ্গ করার নেপথ্যে নিজের পিঠ বাঁচানোর তাগিদও রয়েছে ভাণ্ডারীর বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদের আস্থাভোটে পরাজিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তারপর থেকেই নেপালে (Nepal) তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পরবর্তী সরকার গড়া নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শেরবাহাদুর দেউবা। কিন্তু নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ‘প্রচণ্ড’ ওরফে পুষ্পকমল দহলের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি। প্রসঙ্গত, সংসদে নেপালি কংগ্রেসের ৬১ এবং প্রচণ্ডের দলের ৪৯ জন সদস্য ছিলেন। তবে এদের সম্মিলিত ১১০টি আসন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। ২৭৫ আসন বিশিষ্ট নেপালি সংসদে বর্তমানে ২৭১ জন সদস্য রয়েছেন। ফলে ম্যাজিক ফিগার ছিল ১৩৬। ওলকে সমর্থন জানান ১২১ জন সদস্য। কিন্তু সংসদ ভঙ্গ হয়ে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় আপাতত এই সমীকরণ অর্থহীন।
[আরও পড়ুন: মেলেনি সুফল! কোভিড চিকিৎসায় রেমডেসিভির প্রয়োগের বিপক্ষে WHO]