সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন পৌরহিত্যে মিটছে আরব-ইহুদি সংঘাত। রবিবার, তুমুল জল্পনা উসকে গোপনে সৌদি আরবে হাজির হন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে আলোচনা সারেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এমনটাই খবর।
[আরও পড়ুন: ৯০ শতাংশ কার্যকর তাদের করোনা ভ্যাকসিন, তৃতীয় দফা ট্রায়ালের পর দাবি অক্সফোর্ডের]
আরব-ইহুদি সম্পর্কে নয়া যুগের সূচনা করে এই প্রথম সৌদি আরবে পা রাখলেন কোনও শীর্ষ ইজরায়েলি (Israel) নেতা। ইজরায়েলের ‘Kan public radio’ o ‘Army Radio’ সূত্রে খবর, নেতানিয়াহু, যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের ও পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান ইওসি কোহেন। তবে এই বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ সৌদি আরবের মার্কিন দূতাবাস ও নেতানিয়াহুর দপ্তর। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের সঙ্গে আমেরিকার আণবিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার জল্পনার মাঝে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, মিশর, জর্ডনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আমলে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব অমিরশাহী ও বাহরাইন। এই সন্ধিতে যে সায় রয়েছে সৌদি আরবের তা অজানা নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইজরায়েলের জন্মলগ্ন থেকেই ইহুদি দেশটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর আরব দুনিয়া। বিগত কয়েক দশকে ইজরায়েলের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধও হয়েছে আরব দেশগুলির সংযুক্ত বাহিনীর। তবে প্রতিবারই ইহুদি দেশটির কাছে কাছে পরাজয় স্বীকার করে গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, সিনাই অঞ্চল হাতছাড়া হয় আরব দেশগুলির। যদিও সে সব লড়াইয়ে সংযুক্ত অমিরশাহীর মতোই সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি বাহরাইন। কিন্তু পৃথক প্যালেস্টাইন গড়ার সমর্থনে এতদিন ইজরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রথমে স্বীকৃতি দেয়নি দ্বীপরাষ্ট্রটি।