সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করেই রাফায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। ইজরায়েলকে একাধিকবার সাবধান করেছিল আমেরিকা। কিন্তু কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেনি তেল আভিভ। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের অস্ত্রের সরবরাহ স্থগিত করে দিয়েছিলেন। এবার এনিয়ে মার্কিন প্রশাসনকে একহাত নিয়েছেন নেতানিয়াহু। তাঁর অভিযোগ, আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের জন্যই রাফায় ইজরায়েলি সেনার অভিযানের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে।
গত মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে ইজরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন জানিয়ে দিয়েছিলেন, “আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি ইজরায়েল যদি রাফায় ঢোকে আমি আর অস্ত্র দেব না। যা ইজরায়েল ভেবেছিল রাফায় আক্রমণ শানাতে ব্যবহার করবে। ইতিমধ্যে বিরাট পরিমাণের গোলা-বারুদের সরবরাহ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ইজরায়েল যদি নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল না করে তাহলে এই প্রথম আমরা তাদের অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করে দেব।” তার পরই এই হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে একা লড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি! ইতিহাস গড়ল থাইল্যান্ড]
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ফের আমেরিকার অবস্থান নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, "মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন অস্ত্রের সরবরাহে বাধা দিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য রাফায় অভিযানের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। এটা অকল্পনীয় যে গত কয়েক মাস ধরে প্রশাসন ইসরায়েলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটকে রেখেছে। আমাদেরকে হাতিয়ার দিন। আমরা দ্রুত এই কাজ সমাপ্ত করে দেব।" এদিন নেতানিয়াহুর দাবি উড়িয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, "আমরা রাফার নিরীহ মানুষদের কথা ভেবে ভারী বোমাবর্ষণ আটকে গোলাবারুদের সরবরাহ স্থগিত রেখেছি। বাকি সব কিছুই সাধারণভাবেই চলছে।" এদিকে, হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, 'ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কী নিয়ে কথা বলছেন তা আমাদের জানা নেই।' তবে হাজার চাপ সত্ত্বেও রাফায় হামলা থামায়নি ইজরায়েল।
অন্যদিকে, ফের নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার ইজরায়েলি। গাজা যুদ্ধ ও পণবন্দিদের দ্রুত মুক্তির দাবিতেই তাঁদের এই বিক্ষোভ। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য সকলেই দায়ী করছেন নেতানিয়াহুকে। আট মাস পেরিয়েও গাজায় হামাসের ডেরায় বন্দি রয়েছেন শতাধিক মানুষ। গত মাসে বেশ কয়েকজন পণবন্দির দেহ উদ্ধার করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। ফলে যতদিন যাচ্ছে ক্ষোভ বাড়ছে ইজরায়েলের অন্দরে।