সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মহামারী করোনা। ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক করোনা গ্রাই। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ২ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে দৈনিক কোভিড-১৯ (Covid-19) সংক্রমিতের সংখ্যা। করোনার ছোবলে মৃত্যুও হয়েছে ১২ জনের। আর তাই বিপদ এড়াতে জনতাকে করোনাবিধি মেনে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ২,৭৮৬। যা বুধবার ছিল দু’হাজারের সামান্য বেশি। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২,৫৫৭ জন। করোনা মুক্তের সংখ্যাও বুধবার চেয়ে বেশকিছুটা কম। দেশে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৬৩ জন।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে খাস কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন, ভস্মীভূত প্রযোজনা সংস্থার গোডাউন]
সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮.৭৬ শতাংশ। অ্যাকটিভ কেস (Active cases) ০.০৬ শতাংশ, অর্থাৎ মোট আক্রান্তের মাত্র ০.০৬ শতাংশ সক্রিয় করোনা রোগী। সংখ্যার হিসেবে যা ২৬,৫০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২,৫৭, ৯৬৫। করোনায় মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
দেশজুড়ে সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্র টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছে। উৎসবের মরশুমেও ভ্যাকসিনেশনের গতি কমাতে রাজি নয় কেন্দ্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭০৯ ডোজ টিকাকরণ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ১২ টি দোকান, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা]
প্রসঙ্গত, চিনে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে করোনার দুটি সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ ও বিএ.৫.১.৭। অতিদ্রুত এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। নতুন করে করোনা বৃদ্ধি চিনের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।