সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ‘অপসারিত’ হয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর পদে এসেছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেই পদে বসেই ‘গরুর দুধে সোনা’ মন্তব্যে দিলীপের পাশেই দাঁড়ালেন সুকান্ত। তবে তাঁর ব্যাখ্যা অনেকটা বিজ্ঞানভিত্তিক বলছে ওয়াকিবহাল মহল। কী বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি?
এদিন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সেখানে তাঁকে ‘গরুর দুধে সোনা’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কার্যত দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়ান। বলেন, “কোনও খাবারে লোহা আছে বলা হলে তা দিয়ে কি আপনি টিএমটি বার বানাবেন? তেমনই খাবারের মধ্যে সোনা রয়েছে মানে মলিকিউলের কথা বলা হয়েছিল। দুধের সোনা বের করে কি আপনি গয়না বানাবেন?” এর পরই তাঁর কটাক্ষ, “বিজ্ঞানের পড়ুয়া না হলে এটা বোঝা কঠিন।”
[আরও পড়ুন: ‘দিলীপদার থেকে লড়াই শিখেছি’, নতুন দায়িত্ব পেয়ে প্রাক্তনীর প্রশংসা সুকান্ত মজুমদারের]
প্রসঙ্গত, বর্ধমানের এক সভায় গিয়ে ‘গরুর দুধে সোনা রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপির তৎকালীন সভাপতি। তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। দিলীপ ঘোষের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, বিজ্ঞানসম্মত কথাই বলেছেন তিনি। এবার সেই একই কথা শোনা গেল বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির গলায়। ২০১৯ সালে প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতির মন্তব্যের সমর্থনে পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্র শেয়ার করা হয় বিজেপির তরফে। তাতে দেখা গিয়েছিল, ওই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সত্যিই গরুর দুধে অন্যান্য খনিজের সঙ্গে সোনার উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন।
পোল্যান্ডের রক্ল ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ২০০৫ সালের গবেষণায় গরুর দুধে অজৈব এবং রাসায়নিক মিলিয়ে ৩৮টি উপাদান মিলেছিল। তাঁরা প্রমাণ করেছেন, দস্তা, আয়োডিন, অ্যালুমিনিয়াম, রেডিয়াম, প্লাটিনাম, অ্যান্টিমনি-সহ নানা পদার্থের মতোই গরুর দুধে রয়েছে সোনাও। এদিন ঠিক সেই কথাটাই ‘বৈজ্ঞানিকভাবে’ ব্যাখ্যা করলেন সুকান্তবাবু। তাঁর দাবি, সোনার মলিকিউলের কথা বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।