সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরই দেশে কার্যকর হয়ে যাবে নয়া দণ্ডসংহিতা আইন। শনিবার বিরাট ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র। গত বছরের শেষদিকে দেশের পুরনো ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পাশ করায় কেন্দ্র। সেগুলি কার্যকর করা নিয়ে বিস্তর আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু সেসব আপত্তি উড়িয়ে ১ জুলাই ওই তিন আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করা হল।
ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (IPC) বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা বদলে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর বা সিআরপিসি, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট এই তিন আইনের বদলের জন্য বিল পাশ হয়েছে সংসদে। ১৮৬০ সালের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি এবার হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। সিআরপিসি (CrPC) বদলে গিয়ে হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট বদলে হবে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যে ভবানীপুর থানায় এফআইআর, মমতাকে চিঠি শিখ সম্প্রদায়ের]
এই তিন বিল নিয়ে একযোগে আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোটের তরফে অভিযোগ করা হয়, সরকার এই আইন নিয়ে বড্ড তাড়াহুড়ো করছে। এই আইনের বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এই তিন বিল ভারতের সামগ্রিক নীতির উপর শুধু প্রভাব ফেলবে, তাই নয়। ভারতের জনজীবনের উপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। এই তিনটি বিল নিয়ে সব পক্ষে সঙ্গে যতবেশি সম্ভব আলোচনা করা উচিত।” বিরোধীদের আপত্তির আরেকটা জায়গা ছিল, নয়া দণ্ড সংহিতায় ঘুরপথে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে আরও প্রবলভাবে কার্যকর করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ডার্ক ওয়েবে অবৈধ লীলা খেলা চালায় সুপারস্টাররা! কেন্দ্র পদক্ষেপ করুক’, কঙ্গনার নিশানায় কারা?]
লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রের এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মোদি (Narendra Modi) সরকার বলছে, ভোট মেটার পর কার্যকর হবে এই ‘বিতর্কিত’ আইন। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী বিজেপি।