সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন নিয়মের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitaraman)। উদ্দেশ্য ছিল দেশের কর ব্যবস্থার সরলীকরণ। নতুন আর্থিক বছর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সোমবার থেকে দেশে লাগু হতে চলেছে পরিবর্তিত আয়কর নীতি (Income Tax return policy)। নতুন কর ব্যবস্থায় এবার থাকছে ডিফল্ট আয়কর কাঠামো, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, লিভ এনক্যাশমেন্ট, সারচার্জের মতো একাধিক বিষয়। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কী এই পদ্ধতি।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া সহজ করে তুলতে রাখা হয়েছে ডিফল্ট আয়কর কাঠামো। লক্ষ্য আরও বেশি করদাতাকে নয়া আয়কর কাঠামোতে যুক্ত করা। তবে যদি কেউ নতুন প্রক্রিয়ায় আসতে না চান সেক্ষেত্রে তিনি পুরনো কাঠামোতেই থাকতে পারেন। নয়া এই ব্যবস্থায় কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ করা হয়েছে। পুরনো আয়কর কাঠামোর স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন রয়েছে নয়া আয়কর কাঠামোতেও।
[আরও পডুন: নিঃসন্তান মহিলাকে দিনরাত গঞ্জনা! শাশুড়িকে ‘খুন’ করে আত্মসমর্পণ গৃহবধূর]
নয়া কর পদ্ধতিতে প্রাথমিক করছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি কারও বার্ষিক আয় পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে সারচার্জ বাবদ আর ৩৭ শতাংশ লাগবে না। সেই সারচার্জ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় করদাতাদের আর ভ্রমণের টিকিট এবং ভাড়ার রসিদের ধারাবাহিক হিসেব রাখতে হবে না। এছাড়া নয়া নীতিতে ম্যাচিওরিটির পরে কোনও বিমা পলিসি থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তার উপর কর দিতে হবে গ্রাহককে। এছাড়া সরকারি কর্মচারী নন, এমন কর্মচারীদের লিভ এনক্যাশমেন্টের ক্ষেত্রে করছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা হয়েছে।
[আরও পডুন: ‘বিজেপির মুখোশ খুলতে মহুয়াকে জেতান’, কৃষ্ণনগরের ইতিহাস তুলে রাজমাতাকে তোপ মমতার]
উল্লেখ্য, নয়া আয়কর পদ্ধতিতে ৩ লাখ পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। ৩ লাখ ১ টাকা থেকে ৬ লাখ পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ কর, ৬ লাখ ১ টাকা থেকে ৯ লাখ পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ কর। ৯ লাখ ১ টাকা থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত আয়ে ১৫ শতাংশ কর, ১২ লাখ ১ টাকা থেকে ১৫ লাখ পর্যন্ত আয়ে ২০ শতাংশ কর। এবং ১৫ লাখের ঊর্ধ্বে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।