ধীমান রায়, কাটোয়া: কাটোয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত পূর্বস্থলির এজাবুল শেখ ও কাটোয়ার কেশিয়া মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা রবিউল শেখকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত। শনিবার ওই দু’জনকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার কাটোয়া আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় তদন্তকারীদের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শনিবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ও কাটোয়া থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় এসটিকেকে রোডে গড়াগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। একটি বাস থেকে ৬ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় পূর্বস্থলীর খরদত্তপাড়া এলাকায় বাসিন্দা এজাবুল শেখকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে কাটোয়া কেশিয়ামাঠ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে রবিউল শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিউলের কাছে উদ্ধার হয় আরও ২ কেজি বিস্ফোরক।
[আরও পড়ুন: হাওড়া পুরসভার ভোট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, রাজ্যপালকে ‘দাদু’ বলে কটাক্ষ ফিরহাদের]
পুলিশ জানতে পেরেছে, রাজমিস্ত্রীর পেশার আড়ালে রবিউল শেখ বারুদ বিক্রি করত৷ আর এজাবুল শেখ বিভিন্ন এলাকায় অর্ডার পেলে রবিউলের কাছ থেকে বারুদ কিনে বিক্রি করত। রবিউলের বাড়ি পূর্বস্থলির খড়দত্ত পাড়ায় হলেও সে তার পরিবার নিয়ে কাটোয়ার কেশিয়া মাঠপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই থাকত। রবিউল জানায়, এই বারুদ প্রতি কেজি ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ‘অর্ডার’ পেলে নির্দিষ্ট জায়গায় সরবরাহ করা হয়। যাদের মাধ্যমে বারুদ পৌছে দেওয়া হত তাদের প্রতি কেজিতে এক হাজার টাকা কমিশন দেওয়া হত।
তবে রবিউল এই বারুদ কোথা থেকে পেত বা আর কার কার মাধ্যমে সরবরাহ করা হত তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহার থেকেই এ রাজ্যে আসে এইধরনের বিস্ফোরক। বিহার থেকে বীরভূম জেলা হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যায়৷ লাল ও সাদা দুই রঙের বিস্ফোরকের সংমিশ্রণেই শক্তিশালী বোমা তৈরি করা যায়। এবার দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে আরও বড় কারবারীদের ধরা যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।