টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় নয়া মোড়। প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ টাকা, জমির দলিল ও নগদ টাকা। অন্যদিকে, এদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কোটি কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী।
গত ৩৪ বছর ধরে বিষ্ণুপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mukherjee)। অভিযোগ, সেই সময় ৫৫টি প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলিতে কোনও কাজ হয়নি। এ নিয়ে তদন্ত করে মহকুমা শাসকের কাছে রিপোর্ট দেন চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন মহকুমা শাসক। দেখা যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আমলে পুরসভায় প্রায় ১০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ আধিকারিক, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
সম্প্রতি পুলিশে এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন বিষ্ণুপুরের এসডিও কুতুবউদ্দিন খান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত ২২ আগস্ট রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২৮ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ রামশংকর মোহান্তিকে। শনিবারই আদালতে তোলা হয় তাঁকে। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাঁকে জেরা করে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরার মুখে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লকারের কথা জানান রামশংকর। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক ভরি সোনার গয়না। পুলিশের দাবি রামশংকর জানিয়েছেন যে সেই গয়না শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে মিলেছে পোস্ট অফিসের ৭ টি অ্যাকাউন্টের তথ্য। যাতে নিয়মিত জমা পড়ত টাকা। কিন্তু তা তোলা হয়নি। এছাড়াও মিলেছে চারটি জমির দলিল ও ১৯ লক্ষ টাকা। সম্পত্তির কিছু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে, কিছু বেনামী। উদ্ধার হওয়া সম্পত্তি কার? ঘটনার সঙ্গে জড়িত কারা, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।