নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সিবিআইয়ের (CBI) জন্য আলাদা আইন তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র সরকার। নতুন আইনে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার পাশাপাশি তদন্তে রাজ্য সরকারগুলির কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ারও প্রয়োজন পড়বে না বলেই সূত্রের খবর। বর্তমানে সিবিআই দিল্লি স্পেশ্যাল পুলিশ এস্ট্যাব্লিশমেন্ট (ডিএসপিই) আইনের আওতায় কাজ করে। এতে সিবিআইকে কোনও রাজ্যে তদন্ত শুরু করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সম্মতি নিতে হয়। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের জন্য আলাদা যে আইন তৈরির যে চিন্তাভাবনা চলছে, তাতে এটিকে জাতীয় স্তরের আইন করতে চায় কেন্দ্র।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্ট অনুমতি দিলে কোনও বিষয়ে তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বাকি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ‘জেনারেল কনসেন্ট’ নিতে হয়। সেই বিষয়টি পুরোপুরি তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। সিবিআই-র জন্য নতুন আইন তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের কর্মী বিষয়ক মন্ত্রক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে বেশ কয়েক দফার বৈঠকও করে ফেলেছে।
[আরও পড়ুন: অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কোন লাভের আশায়? টুইটে বিদ্বজ্জনদের বিঁধলেন অমিত মালব্য]
গত মার্চেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সিবিআইয়ের জন্য আলাদা আইন তৈরির সুপারিশ করেছিল। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বর্তমানে সিবিআই যে আইনের আওতায় কাজ করে তাতে তাদের কাজের পরিধি সীমিত। তাই নতুন আইন তৈরি করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি তাদের কাজকর্ম এবং অধিকারও নির্ধারণ করা হোক। কেন্দ্র সরকার সিবিআই-র জন্য নতুন আইন তৈরির ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটির সুপারিশকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে।
তবে, কমিটির পক্ষ থেকে এমন সুপারিশও করা হয়েছে যে সিবিআইয়ের জন্য আলাদা আইন তৈরি হলে তাতে যেন নিরপেক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে। সেই সুপারিশ কতটা মানা হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিককালে সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে এবং বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে।