টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: জন্মের পর থেকেই অসুস্থ সন্তান। হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না তাকে। মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী মা। হাসপাতালের তিন তলার সিঁড়ি থেকে উদ্ধার তাঁর দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যাপক চাঞ্চল্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে কীভাবে ওই মহিলা এমন চরম পদক্ষেপ করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পূজা সিং নামে ওই মহিলা পুরুলিয়ার আনাড়া গ্রামের বেঁকো এলাকার বাসিন্দা। গত ২০ নভেম্বর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেদিনই কন্যাসন্তানের মা হন পূজা। পরিবার সূত্রে খবর, জন্মের পর থেকেই অসুস্থ সন্তান। সে ওই হাসপাতালেরই এনআইসিইউতে ভর্তি। মাসখানেক কেটে গেলেও শিশুর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হচ্ছে না বলেই দাবি পরিবারের লোকজনের। তার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পূজা।
[আরও পড়ুন: প্রেম প্রস্তাবে ‘না’, দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রনেত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ TMCP নেতার]
সোমবার সকালে পরিবারের লোকজনকে পূজা জানান শৌচালয়ে যাবেন। তার পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও তরুণী না ফেরায় শুরু হয় খোঁজখবর। কিছুক্ষণ পর তিনতলার সিঁড়ি থেকে উদ্ধার হয় পূজার দেহ। গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা গিয়েছে ওই তরুণীকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে কীভাবে ওই তরুণী আত্মহত্যার মতো চরম পথ বেছে নিলেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।