সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই হুড়মুড় করে বাড়ছে পাকিস্তানের (Pakistan) জনসংখ্যা। যা শাহবাজ শরিফ সরকারের মাথা ব্যথা বাড়াবে বৈ কমাবে না। সম্প্রতি সীমান্তপাড়ের দেশে সপ্তম আদমশুমারি সম্পন্ন হয়েছে। যা সেদেশের প্রথম ডিজিটাল সেনসাসও বটে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। যা এর আগের ষষ্ঠ আদমশুমারি থেকে ৪ কোটি ৯ লক্ষ বেশি।
২০১৬ সালের পর থেকেই পাকিস্তানের অর্থনীতি নিম্নমুখী। বর্তমানে তা চরম রুপ নিয়েছে। সে দেশের ইতিহাসে সব থেকে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান প্রশাসন। সরকারি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলিতে অনুদানের জন্য মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। ক্রমাগত মুদ্রস্ফীতিতে জেরবার মানুষ। একই সময় ঊর্ধ্বমুখী দেশের জনসংখ্যা ইসলামাবদের বিপদ বাড়াবে বৈ কমাবে না। পাক আদমশুমারি কমিশনের প্রধান নৈমুজ জাফর জানিয়েছেন, সপ্তম আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ২৪ কোটি ৯৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৪৩। ষষ্ঠ আদমশুমারি থেকে যা ৪ কোটি ৯ লক্ষ বেশি।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে দূরত্ব? শক্তি প্রদর্শনে অযোধ্যায় সভার ডাক অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের, পাশে নেই বিজেপি]
প্রদেশগুলির মধ্যে পাক পাঞ্জাবে জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ১২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৭৪ হাজার। সিন্ধের জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। খাইবার পাখতুনখাওয়া ৩ কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে। বালুচিস্তানে লোকসংখ্যা ২ কোটির কিছু বেশি। শহরগুলির মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদে সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস। সংখ্যাটা হল ২৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪২২। একদিকে যখন দেশেজুড়ে সাধারণ মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করছেন, সেই সময়েই সপ্তম জাতীয় আদমশুমারিতে পাক কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে ৩৪ বিলিয়ান পাকিস্তানি টাকা। এই খরচ কি কাজে আসবে আমজনতার? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে চরম রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে এই প্রশ্ন।