টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: দীর্ঘদিনের প্রাচীন সুড়ঙ্গের হদিশ মিলল মল্লরাজাদের গড় বাঁকুড়ায় (Bankura)। রবিবার গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে সতীঘাট এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ (Tunnel) নজরে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর তা ঘিরেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়াল। ওই সুড়ঙ্গে কি লুকিয়ে গুপ্তধন? এই প্রশ্ন তুলে ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন কৌতূহলী জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। পৌঁছন ২ নং ব্লকের বিডিও। প্রশাসনিক তৎপরতায় সুরক্ষার জন্য সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে সেখানে খননকাজ হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
দিন দুই আগে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ধস নামায় আচমকাই বেরিয়ে আসে সুড়ঙ্গটি। রাতের অন্ধকারে সেই সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রায় ২০ ফুট গভীরে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েকজন যুবক, এমনই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর রবিবার সকালে ফের একদল যুবককে সুড়ঙ্গে ঢুকতে দেখেন স্থানীয়রা। শুরু হয় শোরগোল। দেখা যায়, ২ ফুট চওড়া ও ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের সুড়ঙ্গটি পাথর আর ঘাসে ঢাকা। গভীরতা অন্তত ২০ ফুট। স্থানীয়রা বলছেন, বেশ প্রাচীন সুড়ঙ্গটি। মনে করা হচ্ছে, প্রাচীনকালে সম্ভবত আত্মগোপনের জন্য এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত দুষ্কৃতীরা। তারপর তা চাপা পড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: আন্দোলনের আঁতুরঘর যাদবপুরের পড়ুয়াদেরই পছন্দ, ১০ জনকে কোটি টাকা চাকরির প্রস্তাব]
স্থানীয়দের অনুমান, গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ভেঙে সুড়ঙ্গটি প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানে এলাকার কিছু নেশাখোর যুবক ডেরা বেঁধেছে। তবে কি ওই সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের হদিশ পাওয়া যাবে? এই প্রশ্ন উদয় হয়েছে সকলের মনে। যদিও সুড়ঙ্গটিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রশাসনিক কর্তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিডিও এবং পুলিশ আধিকারিকরা সুড়ঙ্গের মুখে ইট, সুড়কি দিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সেইমতো কাজ শুরু হয়েছে। সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে যতই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হোক, তার ভিতরে কী রয়েছে, সেই কৌতূহল কমছে না কিছুতেই।