সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে কোনও উদযাপন করা যাবে না। দেশজুড়ে ফতোয়া জারি করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কক্কর। বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের কোথাও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উৎসব-অনুষ্ঠান করা যাবে না। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে বর্ষবরণের (New Year Celebration) অনুষ্ঠানে বরাবরই বাধা দিয়ে থাকে ইসলামিক সংগঠনগুলো। এবার সরকারের তরফেই নির্দেশ দিয়ে বন্ধ রাখা হবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।
কেন এই নির্দেশিকা? পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “প্যালেস্টাইনের পরিস্থিতিতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। প্যালেস্তিনীয় ভাইবোনদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা জানাতেই বর্ষবরণের উৎসব নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সরকারের তরফে কড়াভাবেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমস্ত উৎসব অনুষ্ঠানে।” কক্করের মতে, হিংসা ও অবিচারের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের নিরস্ত্র মানুষ ও শিশুদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, তা দেখে গোটা পাকিস্তান এবং মুসলিম বিশ্ব ব্যথিত।
[আরও পড়ুন: কানাডায় ফের হিন্দু বিদ্বেষ, মন্দির প্রেসিডেন্টের ছেলের বাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলি]
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে কোনওদিনই ধুমধাম করে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালন করা হয় না। কোথাও অনুষ্ঠান হলেও সেখানে তাণ্ডব চালায় ইসলামিক সংগঠনগুলো,বহুবার এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে সরকারিভাবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, এমনটা সাম্প্রতিক অতীতে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে সরকারি নির্দেশ অমান্য কী ফল ভুগতে হবে, তা অবশ্য জানা নেই।
প্রসঙ্গত, গত রবিবারই ইজরায়েলের বোমাবর্ষণে ধূলিসাৎ হয় গাজার আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবির। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭০ জনের। সব মিলিয়ে সেখানে ২০ হাজার ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যার মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে। কিন্তু এত রক্তপাতের পরও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল ইজরায়েল। হামাসের শেষ না দেখে তারা লড়াই থামাবে না। একাধিকবার এই কথা জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।