সুব্রত বিশ্বাস: মাত্র চারমাস আগে ঘর বেঁধেছিলেন। জীবনের নতুন অধ্যায়। নতুন স্বপ্ন। কত পরিকল্পনা। রাতের কলকাতায় দম্পতির স্কুটিতে লরির ধাক্কা। নিমেষেই সব শেষ। চোখের সামনেই রাস্তায় পিষে যায় স্বামীর শরীর। তারপর থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারছেন না মহিলা। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চলছে তাঁর চিকিৎসা।
রবিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ২টো। স্বামী বিকাশ পাণ্ডের সঙ্গে স্কুটি চড়ে ফিরছিলেন বেহালার পিএনমিত্র লেনের তরুণী শিল্পী অধিকারী। গন্তব্য বালিগঞ্জ। চার মাস আগে বিয়ের পর থেকে এখন সেখানেই বাস শিল্পীর। বাইকে যাতায়াতের সময় কত কথাই না বলছিলেন তাঁরা। সদ্য বিবাহিত দম্পতির মুখে তখন যেন খই ফুটছিল। দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ এবং দেশপ্রিয় শাসমল রোডের ক্রসিংয়ের সামনে এসেই ঘটল অঘটন। বেপরোয়া গতিতে আসা লরি ধাক্কায় ছিটকে গেল স্কুটি। বিকাশের উপর দিয়ে চলে যায় লরির চাকা। শিল্পী দূর থেকে দেখে প্রায় সবকিছুই। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনিও।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে’, জঙ্গি গ্রেপ্তারিতে কটাক্ষ দিলীপের, পালটা দিলেন কুণাল]
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চারু মার্কেট থানার পুলিশ। বিকাশ ও শিল্পীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিকাশকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। শিল্পীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতালের বেডে শুয়ে কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন শিল্পী।
চারু মার্কেট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক লরিচালক। তার খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩০৪এ, ৩৩৮ এবং ৪২৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে শোকে ভাসছে নবদম্পতির পরিবার।