কলহার মুখোপাধ্যায়: নিউটাউন এনকাউন্টারে (Newtown Encounter) নিহত জয়পাল ভুল্লারের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার দাবি খারিজ করে দিল পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে তার পরিবার। সূত্রের খবর, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে বলে জয়পালের দেহ এখনও সমাধিস্থ করেনি পরিবার। ফ্রিজারে রাখা রয়েছে দেহটি।
গত ৯ তারিখ নিউটাউনের ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের এনকাউন্টারে নিহত হয় পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল এবং জসপ্রীত। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ৪০ রাউন্ড গুলিযুদ্ধ চলে উভয়ের মধ্যে। কলকাতায় সাম্প্রতিককালে এত বড় এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করতে পারেন না অনেকেই। এর পরেরদিনই জয়পালের বাবা, প্রাক্তন পুলিশ ইন্সপেক্টর পাঞ্জাব থেকে চলে এসেছিলেন কলকাতায়, ছেলের দেহ নিতে। পরেরদিন ময়নাতদন্তের (Post mortem) পর তাঁর হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। তাঁরা দেহ নিয়ে রওনা দেন বাড়ির দিকে। কিন্তু গ্রামে পৌঁছনোর পরই ছেলের মৃতদেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি তোলে জয়পালের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, দেহ দেখে মনে হয়েছে, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়নি। শরীরে অত্যাচারের চিহ্ন আছে। তাই নিশ্চিত হতে দেহে ফের ময়নাতদন্ত প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে পেটানোর হুমকি দিচ্ছে রত্না’,পুলিশের দ্বারস্থ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়]
তবে এভাবে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। এক রাজ্যে নিহত হওয়ার পর সেখানে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ফের ভিনরাজ্যে গিয়ে ময়নাতদন্তে সাধারণত ছাড়পত্র মেলে না। তাই অনুমতির জন্য জয়পালের পরিবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা আদালতে আবেদন করেন। এ বিষয়ে ১৪ তারিখ তাঁর পরিবারের সদস্য নরেন্দ্র পাল সিং জানিয়েছিলেন, ”আমরা ওর দেহ ফ্রিজারে রেখে দিয়েছি। কারণ, আমাদের ধারণা, ওকে অত্যাচার করে মারা হয়েছে। দেহে অনেক চোট-আঘাত রয়েছে।” তবে বৃহস্পতিবার পরিবারের সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। এরপর তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে, ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ভরত কুমারের স্ত্রী পিয়ালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রের খবর।