সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতলকুচি (Sitalkuchi) কাণ্ডে পদক্ষেপ করতে এবার রাজ্যপুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যের চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে চার নাগরিকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় তদন্তে ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে। সেই বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট নিজেদের মতো তদন্তের কাজ শুরুও করেছে। এরই মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) ডিজিকে নির্দেশ দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী রাধাকান্ত ত্রিপাঠী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবিতে আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে এবার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) ডিজি বীরেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে NHRC। ওই চিঠিতে মানবাধিকার কমিশনের তরফে চার নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপের আরজি জানানো হয়েছে। বিধানসভা ভোটের পরে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের আবহে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই নির্দেশ বেশ চমকপ্রদ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ৩৮ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নিউ বারাকপুরের কারখানার আগুন, ৪জনকে খুঁজতে উড়বে ড্রোন]
প্রসঙ্গত, রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলকুচিতে রাজনৈতিক হিংসা থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ৪ নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাই একুশে বঙ্গ বিধানসভা ভোটে এক বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভোটে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এর তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। তৈরি হয় সিট (SIT)। দায়িত্ব পেয়েই কাজে নামেন তদন্তকারীরা। প্রথমেই তলব করা হয় শীতলকুচি থানার আইসিকে। সেসময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকেও তলব করে সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল। তারপর জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে কর্মরত CISF-এর দুই অফিসার-সহ ৬ জন জওয়ানকেও তলব করা হয়, তবে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদের দিন হাজির হননি।