সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিড-ডে মাল খেয়ে অসুস্থ ছাত্রীরা। তাদের সুস্থু করে তুলতে তান্ত্রিক ডাকল স্কুল কর্তৃপক্ষ। যোগীরাজ্যের স্কুলের এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission)। রাজ্যের সরকারি স্কুলের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জবাবদিহি চেয়ে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। উল্লেখ্য, শুরুতে তান্ত্রিক ডাকা হলেও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ছাত্রীদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার একটি সরকারি স্কুলের। সম্প্রতি মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৫ জন ছাত্রী। অসুস্থ ছাত্রীদের অধিকাংশের বয়স ৯ থেকে ১৩ বছর। তাদের সুস্থ করে তুলতে ডাক্তার ডাকা হয়নি, বরং তান্ত্রিক ডেকে আনে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তান্ত্রিককে দিয়ে ছাত্রীদের চিকিৎসা করানোর ভিডিও প্রকাশ্যে চলে আসে। গ্রামবাসীদের একাংশেরও বিশ্বাস, ওই স্কুলে ভূত রয়েছে। ভূতপ্রেতের কারসাজিতে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁদের উপর নাকি ‘ভর’ হয়েছিল। যদিও ২১ ডিসেম্বর বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। তারাই ছাত্রীদের হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করে।
[আরও পড়ুন: ৩ হাজার কোটি বেআইনি ঋণ প্রদান! গ্রেপ্তার ICICI ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও ছন্দা কোচর]
এদিকে এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আসরে নামায় মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের। এই বিষয়ে জবাবদিহি চেয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা-ও জানতে চেয়েছে কমিশন। পাশাপাশি মিড-ডে মিলের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে কমিশনের পাঠানো নোটিসে।
[আরও পড়ুন: ‘আপনার মন্তব্য গণতন্ত্রে আস্থাহীনতার ইঙ্গিত’, তোপের মুখে সোনিয়াকে পালটা ধনকড়ের]
গোটা ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিক্রিয়া, অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন ছিল। তা না করে আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের উপর ভর করে তান্ত্রিক ডাকা হয়েছে। এই কাজ করে আসলে ছাত্রীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যা অবশ্যই শাস্তযোগ্য অপরাধ। ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।