রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাচ ভাঙা গাড়ি। সামনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পথ আগলে রাস্তায় বসে মহিলারা। আবার কেউবা দাঁড়িয়ে। তাঁদের হাতে বাঁশ, লাঠিসোটা। শনিবার সাতসকালে এই ছবি পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের। যা ফেরাল সন্দেশখালির স্মৃতি। প্রায় একই কায়দায় মারমুখী মহিলা ব্রিগেডের হামলার শিকার কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
চলতি বছরের গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের খোঁজে যায় ইডি। সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'র সেই সময় খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে শাহজাহান অনুগামীদের হামলার শিকার হন তদন্তকারীরা। হামলাকারীদের প্রথম সারিতে ছিলেন মহিলারা। তিন ইডি আধিকারিক জখন হন। ঝরে রক্ত। গাড়ি ভাঙচুরও হয়।
সন্দেশখালিতে হামলায় ভাঙে ইডির গাড়ির কাচ
ওই ঘটনার ঠিক তিন মাসের মাথায় শনিবার সকালেও ভূপতিনগরেও ঘটল প্রায় একই ঘটনা। বছর দুয়েক আগে নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে এসে ফের আক্রান্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তবে এবার ইডি নয়। এবার মহিলা ব্রিগেডের 'হামলা'র শিকার এনআইএ।
[আরও পড়ুন: ভুতুড়ে হাসি, গান! ওয়াটগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের পর বাড়ি ঘিরে দানা বাঁধছে আতঙ্ক]
কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের দাবি, অন্তত ১০০-১৫০ জন অনুগামী তাঁদের ঘিরে ধরেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। হাতে লাঠিসোটা। 'হামলা'র শিকার এনআইএ। ভাঙল গাড়ির কাচ। বিক্ষোভকারীদের দাবি একটাই, ধৃত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে নেমেছে NIA। সম্প্রতি দফায় দফায় বেশ কয়েকজনকে নোটিস দিয়ে তলব করা হয়। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বলাই এবং মনোব্রতও। হাজিরা না দেওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করতে যান তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ভূপতিনগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছে NIA। সূত্রের খবর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই।