সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিমতায় বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদারের মাকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় সরব সবমহল। বাংলায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। যন্ত্রণাকাতর বৃদ্ধা এই ঘটনার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
গত শনিবার ভোররাতে উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নিমতা পাটনা স্কুল রোডের ঘটনা। বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তিনজন তৃণমূল কর্মী তাঁদের বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে। তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয়। এই সময়ই গোপালবাবুর মা অভিযুক্তদের বাধা দিতে এলে অশীতিপর বৃদ্ধা মাকেও বেধড়ক মারধর করে শাসকদলের ওই কর্মীরা। নাক-মুখ ফুলে লাল হয়ে যায় তাঁর। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অসুস্থ বৃদ্ধা শুভা মজুমদার জানান, “তৃণমূলের লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করেছে। আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়েছে। আমাকে খুব মেরেছে ওরা। এই অবস্থা দেখেও ওরা আমায় ছাড়েনি।”
[আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় নির্বাচন, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কলকাতায় বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্ব]
সেদিন রাতেই বিজেপি কর্মী এবং শুভাদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় নিমতা থানার পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গোপালবাবু। আচমকা মারধরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা। যাঁরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ঘৃণার রাজনীতির খেলায় মেতেছে বিজেপি। নিমতার বৃদ্ধা পারিবারিক হিংসার শিকার। তাঁর কষ্টকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করে বিজেপি বুঝিয়ে দিল এরা কারও কথা ভাবে না।
গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপি। টুইটারে সরব বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লেখেন, “নিজেকে বাংলার মেয়ে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার শাসনেই বাংলার মায়েরা আজ অসুরক্ষিত। তাই বাংলার মা-বোনেদের সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন আসল পরিবর্তন।” ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে নিমতা থানাও ঘেরাও করেছেন বিজেপি কর্মী-সদস্যরা। নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে চিঠিও দিয়েছে মহিলা কমিশন।