বিক্রম রায়, কোচবিহার: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীর ধস্তাধস্তি! নিশীথ-উদয়নের দ্বন্দ্বে রাতদুপুরে উত্তপ্ত দিনহাটা। দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথা ফাটল মহকুমা পুলিশ আধিকারিকেরও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে দিনহাটা শহরে ফিরছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। ওই সময়ই ওই রাস্তা দিয়ে আসছিল উদয়ন গুহর কনভয়। উদয়ন আবার জন্মদিন উপলক্ষে দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরীর আয়োজন করা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। দুই যুযুধান শিবিরের কনভয় সামনাসামনি আসতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একে অপরের দিকে কটূক্তি করতে থাকেন দুই শিবিরের কর্মীরা। তার পরই শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালীন একেবারে সামনাসামনি চলে আসেন নিশীথ এবং উদয়ন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: যতকাণ্ড যোগীরাজ্যে, সরকারি টাকা হাতাতে দিদির কপালেই সিঁদুর দিলেন ভাই!]
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং উদয়নের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা দু'পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে হিমশিম খেয়ে যান। উদয়ন গুহর অভিযোগ, আগে বিজেপি কর্মীরাই তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হন। এমনকী স্থানীয়রা বাধা দিতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। রাজ্যের মন্ত্রী বলছেন,"নিশীথ ভোট ঘোষণার পরও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ১০-১৬ গাড়ি নিয়ে হুটার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি আমার সব সরকারি সুবিধা ত্যাগ করেছি। তাহলে নির্বাচনী আচরণবিধি কি শুধু আমার জন্য?" পালটা নিশীথের দাবি, বিজেপি কর্মীদের উসকানি দেন উদয়নই। আগে চড়াও হয় তৃণমূল। বাধ্য হয়ে তিনি গাড়ি থেকে নামেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলছেন,"তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই ধমক-চমকের রাজনীতি করছেন উদয়ন।"
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রামদেব, পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম তলব যোগগুরুকে]
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর, দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশও। মহকুমা পুলিশ আধিকারিকেরও মাথা ফেটেছে বলে খবর।