সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAG রিপোর্টে তাঁর মন্ত্রকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, বড়সড় গোলযোগ করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। দুর্নীতির অঙ্কটা এত বড় যে, সেটা বিশ্বাস করাই দায়! সেই অভিযোগ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। কিন্তু এত কিছুর পরও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী নীতীন গড়করি (Nitin Gadkari)।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে সড়ক পরিবহণ দপ্তরের বিরুদ্ধে? CAG রিপোর্ট বলছে, দিল্লিতে যে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে, সেখানে শুরুতে সরকার প্রতি কিলোমিটারে ১৮.২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু পরে দেখা যাচ্ছে রাতারাতি সেই বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে কিলোমিটার প্রতি ২৫০ কোটি করা হয়েছে। অর্থাৎ মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৫০ কোটি? যা কিনা একপ্রকার অবিশ্বাস্য।
[আরও পড়ুন: ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বদল আরবিআইয়ের নিয়মে! কী বলা হয়েছে নয়া গাইডলাইনে?]
সিএজির ওই রিপোর্ট বলছে, ২৯.২ কিলোমিটার লম্বা ওই দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের খরচ বরাদ্দের তুলনায় প্রায় ১৩ গুণ বেশি হয়েছে। বিরোধীরা বলছে, সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে প্রায় ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যদিও পুরো অভিযোগটাই অস্বীকার করছেন সড়ক পরিবণমন্ত্রী নীতীন গড়করি। তিনি বলছেন, ক্যাগ আধিকারিকদের ভুলেই এই ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।
[আরও পড়ুন: দেশে জন ধন অ্যাকাউন্ট পেরিয়েছে ৫০ কোটি, ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’, উচ্ছ্বসিত মোদি]
তাঁর দাবি, যে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের (Dwarka Expressway) দৈর্ঘ্য ২৯ কিলোমিটার বলা হচ্ছে, সেটা ২৯ কিলোমিটার নয়। সেটার আসল দৈর্ঘ্য হবে ২৩০ কিলোমিটার। কারণ ওই প্রকল্পের মধ্যে বেশ কিছু টানেলও যোগ করা রয়েছে। সেসব হিসাব করলে কিলোমিটার প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র সাড়ে ৯ কোটি। যদিও এই ‘টানেলে’র যুক্তি বিশেষ মানতে চাইছে না বিরোধীরা।