সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার কি পায়ের তলায় সরষে? নতুন নতুন দেশ দেখার নেশা? সেই তালিকায় রয়েছে মানস সরোবরও (Mansarovar)? অথচ এতদিন দুর্গমতার কারণে গিয়ে উঠতে পারেননি? এবার আপনার সাধপূরণ হতে পারে অনেক সহজে। আর নেপাল বা চিন হয়ে নয়, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পিথোরগড় থেকেই সরাসরি পৌঁছতে পারবেন মানস সরোবরে। সম্প্রতি সংসদে নীতীন গড়করির ঘোষণার পরে স্বাভাবিক ভাবেই পর্যটকদেরও উৎসাহ তুঙ্গে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে চার হাজার মিটারের চেয়েও বেশি উঁচুতে অবস্থিত মানস সরোবর। আজও পর্যটকদের কাছে যার আকর্ষণ অমোঘ। এবার উত্তরাখণ্ডে তৈরি হচ্ছে নতুন পথ। যার মধ্যে দিয়ে অনেক কম সময়ে মানস সরোবরে যাওয়া যাবে। সড়ক পরিবহণমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই পথের ৮৫ শতাংশ কাজই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর আশা, ২০২৩ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই রাস্তা। ফলে ২০২৪ সালের শুরু থেকেই এই পথে যাত্রা শুরু করা যাবে।
[আরও পড়ুন: মোদির গড় গুজরাটেই বিজেপিকে হারাতে চান প্রশান্ত কিশোর! কংগ্রেসকে সাহায্যের প্রস্তাব PK’র]
কৈলাস পর্বত ও মানস সরোবর। বাঙালির স্বপ্নের এই তীর্থস্থান অবস্থিত সুদূর তিব্বতে। প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা সারা পৃথিবী থেকে ছুটে আসেন এই অঞ্চলে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মানস সরোবর যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের জন্য খোলা থাকে। যদিও বসন্তে স্বচ্ছতোয়া নীল জলে টলটলে মানস সরোবরের আকর্ষণ তুমুল। তবে শীতের দুর্গমতাতেও এই সরোবর এক অনন্য সুন্দর রূপ ধারণ করে। বিরাট বরফখণ্ডে পরিণত হয় সেটি। যে কোনও রূপেই শান্ত, সুন্দর, গম্ভীর মানস সরোবরের সৌন্দর্য নিশ্চিত ভাবেই ‘লাইফ টাইম এক্সপিরিয়েন্স’। জীবনে অন্তত একবার এই অভিজ্ঞতা লাভ করলে, তা ভ্রমণপিপাসুদের সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থাকে। এবার সেই সুযোগ অনেক সহজেই লাভ করা যাবে। আপাতত অপেক্ষা নতুন পথের।
তবে এই যাত্রার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হয়। উচ্চতম ট্রেকিংয়ের কথা বললেই মানস সরোবরের নাম আসে। প্রতিকূল আবহাওয়া সেই সফরের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। তবে সেটুকু সামলে নিতে পারলেই কৈলাস ও মানস সরোবর এক বিপুল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে পর্যটকদের। নতুন পথে চ্যালেঞ্জটা সামলানোও অনেক সহজ হয়ে যাবে।