সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের (Bihar) রাজনীতিতে ডামাডোল চলছে সেই রবিবার থেকে। আচমকাই জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) জানিয়ে দেন, তাঁর দলের কোনও সদস্য দিল্লিতে বিজেপি সরকারের ক্যাবিনেটে থাকবে না। সেই সঙ্গে সোমবারেই দলের সকল বিধায়ক এবং সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছেন তিনি। এমতাবস্থায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন নীতীশ। জানা গিয়েছে, সোনিয়ার (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময়ও চেয়েছেন তিনি। তবে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি এই বিষয়ে।
মাত্র দু’দিন আগেই জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং। দল ছাড়ার আগে তিনি খোলাখুলি ভাবে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীতীশ। কিন্তু সেটা হবে না। জানা গিয়েছে, বিহার নেতৃত্বের উপরে অমিত শাহের (Amit Shah) অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করা নিয়ে বিরক্ত নীতীশ। তাঁর মনে হয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউ-এর মুখ হিসাবে অন্য কাউকে তৈরি করা হচ্ছে। যদিও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ দু’ জনেই আশ্বাস দিয়েছেন যে দলের মুখ থাকবেন নীতীশই।
[আরও পড়ুন: সামান্য বচসার জেরে বাবাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মার ছেলে-বউমার! প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ]
বিহারের বিজেপি নেতারা নীতীশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, এমনটাও জানা গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলাফল করার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেছিলেন নীতীশ, সেই কারণেও বেশ কিছু বিজেপি নেতা ক্ষুব্ধ ছিলেন। ফলে কোনওমতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এনডিএ সরকার গড়লেও, নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল জোটের সমীকরণ। রবিবারেই নীতি আয়োগের বৈঠক থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নীতীশ। কোভিডের কারণ দেখিয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। কিন্তু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি উন্নয়ন র্যাঙ্কিংয়ে বিহারকে নীচের দিকে রাখায় ক্ষুব্ধ সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার লালু প্রসাদের দল আরজেডির সঙ্গেও বৈঠক করবেন নীতীশ। ফলে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তুমুল ঝড় ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বিহার বিধানসভার বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিধায়ক রয়েছে আরজেডির কাছে। ফলে এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসে জেডিইউ যদি কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায়, অনায়াসে বিজেপিকে সরকার থেকে উৎখাত করতে পারবে এই জোট।